কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীকে৷ অঙ্কিতা সরকারের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ববিতা৷ অঙ্কিতা অধিকারী বেতন বাবদ গত ৪৩ মাসে যে পরিমাণ টাকা পেয়েছেন, তার পুরোটাই ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷ সেই বাবদ প্রথম কিস্তির ৭,৯৬,৪২২ টাকা ফিরিয়েও দিয়েছেন অঙ্কিতা৷ সেই টাকার পুরোটাই ববিতাকে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'বাদাম খাওয়ার টাকা দিয়েছেন নাকি!' ডিএ মামলায় বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ কোর্টের
ক্ষুব্ধ বিচারপতি এ দিন এসএসসি-র উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন, 'ববিতা সরকার এখনও চাকরি পায়নি কেন? তিনি আর কতদিন অপেক্ষা করবেন? এসএসসি কেন এখনও চাকরির সুবিধা করল না কেন?' বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, 'মন্ত্রী কন্যা যোগ্য ছিলেন না বলেই আদালত তাঁর চাকরি বাতিল করে৷ নির্লজ্জভাবে মন্ত্রী কন্যাকে ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে নিয়োগ করে এসএসসি।
করে।
বেআইনি ভাবে মেধা তালিকার কারচুপি করে নিয়োগ করা হয় অঙ্কিতা অধিকারীকে। অপেক্ষমান তালিকায় মন্ত্রী কন্যা কীভাবে ১ নম্বরে উঠে এলো তা সিবিআই তদন্তযোগ্য। এবং তদন্তে তা সামনে আনবে।
ববিতা সরকার যোগ্য হওয়া সত্বেও চাকরি দেয়নি কমিশন।' ২৭ জুনের মধ্যে ববিতা সরকারকে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশও দেন বিচারপতি৷ ইন্দিরা গার্লস স্কুলেই ববিতাকে চাকরি দেওয়ার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকেও নির্দেশ দেওয়া হয়৷ ১০ জুলাইয়ের মধ্যে ববিতা চাকরিতে যাতে যোগ দেন, নির্দেশ দিতে গিয়ে সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷
শুধু তাই নয়, সবকিছু জেনেও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে মন্ত্রী কন্যার হয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনের জন্য অঙ্কিতা সরকারের আইনজীবীকেও জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই আইনজীবীকে জরিমানা বাবদ ১০০ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি৷