নির্দেশ দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের সময় এইমস-এর বিশেষজ্ঞ, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উপস্থিত থাকতে পারবেন৷ গোটা ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হবে৷
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু, কলকাতায় নেমেই অর্জুন চৌরাসিয়ার বাড়ি যাচ্ছেন অমিত শাহ
advertisement
আরজি কর হাসপাতাল থেকে যাতে অর্জুন চৌরসিয়ার দেহ নির্বিঘ্ন কম্যান্ড হাসপাতালে পৌঁছয়, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷ পাশাপাশি নিহতের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ যত দ্রুত সম্ভব ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত
অর্জুন চৌরাসিয়া নামে ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এ দিন সকাল থেকে চরম উত্তেজনা ছড়ায় কাশীপুরে৷ দলীয় কর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে অর্জুন চৌরাসিয়ার বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷
কাশীপুরের বাসিন্দা অর্জুন চৌরাসিয়ার ঝুলন্ত দেহ একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত৷ মৃতের পরিবার ও বিজেপি-র অভিযোগ, অর্জুনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তৃণমূলও পাল্টা দাবি করে, গত পুরভোটে ওই যুবক তাদের হয়ে কাজ করেছেন৷ দু' পক্ষের দাবি পাল্টা দাবি থেকে রীতিমতো সংঘর্ষ বেঁধে যায় কাশীপুরে৷ অর্জুনের দেহ দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখে তাঁর পরিবার৷ পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে৷ ঘটনার সিবিআই তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ৷ রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷
আরও পড়ুন: কাশিপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া উচিত, বললেন অমিত শাহ
এ সবকিছুর মধ্যেই বিজেপি-র সাহায্যে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় অর্জুনের পরিবার৷ নিহত যুবকের মাকে নিয়ে হাইকোর্টে পৌঁছে যান বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল৷ পরিবারের তরফেই দেহ সংরক্ষণ করে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কম্যান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্তের আবেদন জানানো হয়৷ রাজ্যের তরফে বিচারবিভাগীয় নজরদারিতে ময়নাতদন্তে সম্মতি জানানো হয়৷ ময়নাতদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফির কথাও জানান রাজ্যের আইনজীবী৷
আদালত স্পষ্ট করে দেয়, এই মুহূর্তে শুধু ময়নাতদন্তের বিষয়টি নিয়ে ভাবছে তারা৷ এর পরেই দু' পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে কম্যান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷