বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর মন্তব্য, 'সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে আপনার দায়িত্ব রয়েছে। এটা কোনও পোস্টমাস্টারের চাকরি নয়। মনে রাখবেন এখানে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে। এখানেই যদি দুর্নীতি হয় তা সমাজের পক্ষে অনেকটা ক্ষতিকর। সমাজের একজন হিসাবে কেউ কি আশা করতে পারেন না, যে অন্তত শিক্ষক নিয়োগ স্বচ্ছ ভাবে হবে? সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগ। এটা তো সমাজের সঙ্গে বেইমানি করা হল।'
advertisement
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর সংযোজন, 'গাফিলতি বলে নিজেকে এড়ানো যায় না। গাফিলতিকে জামিন চাওয়ার ক্ষেত্রে ঢাল করতে পারে না। যেভাবে ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরির সুপারিশ করা হয়েছে, এটা গাফিলতি বলে এড়ানো যায় না! এটা দুর্নীতি। উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী সংস্থা বলছে ওএমআর নম্বর কম আর এসএসসি সার্ভারে এত নম্বর! যেখানে পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্ক নেই। সেখানে ওএমআর বিকৃতি কীভাবে সম্ভব!'
আরও পড়ুন: 'শুভেন্দু পালিয়ে এসে অমিত শাহের শরণাপন্ন হয়েছে', বেনজির আক্রমণ কুণালের
সুবীরেশের আইনজীবী অবশ্য জানান, তাঁর মক্কেল এসএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। চেয়ারম্যান থাকার পর তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন।'' বিচারপতি বাগচী পাল্টা বলেন, ''তিনি তো আর ভারতের রাষ্ট্রপতির ভাইস চ্যান্সেলর নন। অতএব, আমরা এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নয়। এই নিয়োগ দুর্নীতিতে সুবীরেশের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ সেটা দেখতে চাই।'' সুবীরেশের আইনজীবী বলেন, ''আমি পদে থাকাকালীন এই সব ঘটনা ঘটেনি এটা বলতে চাইছি। ২১ অক্টোবরের চার্জশিট মোতাবেক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমার মৌখিক নির্দেশে প্রোগ্রামিং অফিসার নাকি উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) পরিবর্তন করেছেন। কম নম্বর পেয়েছেন এমন প্রার্থীদের বেশি নম্বর দিয়েছি। এ ছাড়া এসএসসি-র ওয়েবসাইটে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। অথচ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি কমিটির মাথায় ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। আমাকে প্রথমে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছিল। পরে গ্রেফতার করা হয়।''
আরও পড়ুন: ২০০ পেরিয়ে ফের চড়ছে মুরগির মাংসের দাম! আশঙ্কার কথা শোনালেন ব্য়বসায়ীরা
বিচারপতি বাগচী বলেন, ''আপনি একটি সংস্থার সর্বোচ্চ পদে ছিলেন। সেই জায়গায় কী ভাবে আপনাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এড়িয়ে যেতে পারেন? যিনিই অভিযোগ আনুক আপনার বিরুদ্ধে, আপনি এত দিন কেন সচেতন হননি?''