কলকাতায় পুর ভোটারদের মনোবল বাড়াতে রাস্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ, এরিয়া ডমিনেশন চায় হাইকোর্ট। তবে, ভোট প্রক্রিয়ায় তাঁরা থাকবে না। এরপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আজ রাতেই এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে, নাহলে আগামীকাল সকালে হাইকোর্ট ওয়েবসাইটে নির্দেশ আপলোড হবে। তবে, মামলার নিষ্পত্তি করছে না প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। ২৩ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে। ফলে সরাসরি পুরভোটের কাজে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কিনা, আপাতত নির্দেশনামার দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিজেপি।
advertisement
বিজেপি-র আইনজীবী এদিন অভিযোগ করেন, রাজ্য ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে আশ্বাস দিয়েছিল নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণের। কিন্তু সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী ঘটনা ঘটেছিল, আমরা সবাই জানি। রাজ্যের আশ্বাসে তাই বিজেপির কোনও আস্থা নেই। প্রতিদিন হাইকোর্টে মামলা হচ্ছে পুলিশ নিষ্ক্রিয়, কোথাও পুলিশের অতিসক্রিয়তাও দেখা যাচ্ছে। কোথাও রাজনৈতিক কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না আদালতের নির্দেশের পরও।
এদিন হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে যদি ভীত হয় তাহলে সেক্ষেত্রে কী করণীয় কমিশনের? ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস গড়তে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন? কত পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন?কমিশনের বিস্তারিত তথ্য কোথায়? পুলিশ কত মোতায়েন ভেটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কাজে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই, কমিশন কি এই বিষয় গুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেয়নি?
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের স্মৃতি উসকে পুরভোটেও বাহিনী চায় BJP, সিদ্ধান্ত বদলাবে ডিভিশন বেঞ্চে?
কমিশনের তরফে অবশ্য পাল্টা জানানো হয়, আরও অতিরিক্ত বাহিনী লাগলে তা রাজ্যের কাছে চেয়ে নেওয়া হবে। তবে, আদালত পাল্টা বলে, কিছু জায়গায় যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার প্রযোজন থাকে রাজ্য কি তাতে রাজী থাকবে? যদিও রাজ্যের তরফে তার বিরোধিতা করা হয়। রাজ্যের যুক্তি, এই মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্দেশ দেওয়া যায় না, জনস্বার্থ মামলার ক্ষেত্রে তা করা যায়।
আরও পড়ুন: ভোট বাজারে হঠাৎ পালকি নিয়ে হাজির মদন মিত্র, কারণ নাকি নরেন্দ্র মোদি!
এরপর কেন্দ্রের এএসজি তরফে পাল্টা বলা হয়, হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নামতে প্রস্তুত। রুট মার্চ করতে পারবে।ভয়ের বাতাবরণ কাটাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করবে। সরাসরি ভোট প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকবে না। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্ষমতা থাকবে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের। এরপরই কমিশনের কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কমিশন এই প্রস্তাব কীভাবে দেখবে? কমিশন জানায়, ''আমাদের প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত বাহিনির, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কমিশন তা সময় বুঝে ব্যবস্থা নেবে।'' এরপরই ধোঁয়াশা রেখে নির্দেশ গচ্ছিত রাখেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে শুক্রবার রাত বা আগামীকাল সকালের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বঙ্গ বিজেপি।