সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী মিলন মুখার্জির আবেদন, নিম্ন আদালতের প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করুক ডিভিশন বেঞ্চ। সেই আবেদনে সাড়া দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। বরং কেন তাকে আগাম জামিন মঞ্জুর করা হবে এই মর্মে কিছু প্রশ্ন করে আদালত।সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চের।
advertisement
সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র বলেন ওরফে অভিযুক্ত কালীঘাটের কাকু বলেন, ‘‘নিম্ন আদালতে আমি হাজিরা দেইনি। আমি অসুস্থ রয়েছি । আমায় এত দিনের মধ্যে গ্রেফতার করেনি। ৪ মে ২৩ সালে আমার বাড়িতে তল্লাশি হয়। ১৩ মে আমায় গ্রেফতার করেনি ইডি। আমি ওই ইডি কেসের ভিত্তিতে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করি। সম্প্রতি সেই জামিন মঞ্জুর হয়ছে। শেষ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ছে নভেম্বরে।’’
অভিযুক্তের আরও আবেদন, ‘‘জেলে ফেলে রেখেছে। নিম্ন আদালতে আমায় হাজির করতে পারেনি বলে কোনও প্রসিডিংস শুরু করতে পারেনি। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে গ্রেফতারির বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না। কয়েকদিন নিম্ন আদালতের প্রক্রিয়া ওপর স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয়া হোক। দুদিন অন্তর অন্তর শুনানি রাখছে।’’
আরও পড়ুন: ঠিক ৪ দিন পরই ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা! বুধ-শুক্রের মহাযুতি, ৪ রাশির কপালে টাকার বৃষ্টি
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মন্তব্য –
সেটা হয়তো তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের অঙ্গ। নিম্ন আদালতের প্রক্রিয়াকরণের ওপর আদালতের তিনটি প্রশ্ন আছে।
১) কোনও অভিযুক্ত এর এত বার প্রোডাকসান ওয়ারেন্ট ইস্যু হবার পর কেন নিম্ন আদালতে আসছে না ।
২) আগাম জামিনের আবেদন করছেন কিন্তু প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট মানে আগের মামলার সঙ্গে নতুন মামলায় যুক্ত হয়ে যাওয়া। তাহলে সুজয় কৃষ্ণ কোন গ্রাউন্ডে আগাম জামিন চাইছেন?
৩) আগাম জামিনের ক্ষেত্রে যে আইন অনুসরণ করা উচিত সেই নিয়মাবলী কি আবেদনকারী ফলো করেছে?