এরপর সিবিআই তদন্তের আর্জিতে আদালতের দ্বারস্থ হন মহরম আলীর বাবা। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতের 'নাটক' শেষে ইডি-র অফিসে মেনকা, অভিষেক-শ্যালিকাকে নিয়ে শুরুতেই চমক
মহরম আলির বাবা সরাবত আলি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। সরাবত আলির অভিযোগ ছিল, তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য। তাই আমতার চন্দ্রপুর এলাকায় যেতে পারতেন না। ঘটনার দিন তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁর ছেলে মহরম আলীকে। সেখানে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। সেই সময়ই বোমা ফেটে আহত হয় মহরম আলী, পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন তৃণমূলে কি পুরনোরা ব্রাত্য? মালবাজারের সভায় বড় বার্তা অভিষেকের
সেই মামলায় পুলিশ সুপারকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু ওই মামলায় বারবার পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় আমতা থানার ওসিকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি শম্পা সরকার। এরপর ঘটনায় একাধিক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল। এই ধরনের বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হয়। এরপর কেন্দ্র সেই রিপোর্ট দেখে বিবেচনা করে সেই মামলা এনআইএ তদন্ত করবে কি না। সেই সিদ্ধান্ত অর্থাৎ এনআইএ তদন্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্র। কিন্তু সেই তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের কাছে অভিযোগ তুলে ধরা হয়। এবার অবশেষে ওই মামলায় এএনআই-কে পার্টি করার নির্দেশ দিল আদালত।