শুক্রবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আলোচনার প্রথমে প্রস্তাব দেন কিছু তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত আইনজীবী। আর তাই নিয়ে হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে ধুন্ধুমার বেধে যায়। বার সভাপতি অরুণাভ ঘোষ-সহ সভাপতি কল্লোল মণ্ডল সহ একাধিক আইনজীবী তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত আইনজীবীদের আনা প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন।
আরও পড়ুন :রাজ্যের লাইন ধাক্কা! 'একলা চলো'র পথেই সওয়াল সিপিআইএমের কলকাতা জেলা সম্মেলনে
advertisement
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চ (Calcutta High Court) বয়কট করার আলোচনা করতে হলে, তারও আগে প্রধান বিচারপতি'র ডিভিশন বেঞ্চ বয়কট নিয়ে আলোচনা করতে হবে, এমন দাবিও করেন অনেক আইনজীবী। এই অংশের আইনজীবীদের যুক্তি, প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ গঙ্গাসাগর ও পুরভোট নিয়ে মামলার ফলাফল রাজ্যের অনুকূলে গেলেও মানুষের মনের নির্দেশ সেগুলো নয়।
দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডা এতটাই চরমে ওঠে শুক্রবার, একসময় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কিছু আইনজীবী। বার সভাপতি অরুণাভ ঘোষকে হেনস্থা করা বলে অভিযোগ আইনজীবী সৌরভ মণ্ডলের। দিনের শেষে,তৃণমূলের প্রস্তাব সমর্থনে কোনও প্রস্তাব পাস হয়নি এদিন৷ প্রস্তাবে বাধাদান করেন কংগ্রেস ও বিজেপি ও বাম সমর্থিত আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন : আজব স্টেশন বটে! ট্রেনের ইঞ্জিন থাকে এক রাজ্যে, বগি অন্য রাজ্যে!
প্রধান বিচারপতি কে চিঠি দিয়ে বার সভাপতি অরুণাভ ঘোষ এবং সহ-সভাপতি কল্লোল মণ্ডল জানিয়ে দেন, নিয়ম ভেঙে প্রস্তাব আনা হয়েছিল বৈঠকে, কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি (Calcutta High Court)।একসময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের গলাবাজি হাইকোর্ট বাইরে B-গেটের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তৃণমূল সমর্থিত আইনজীবীদের দাবি বয়কট নয়, বার ও বেঞ্চের মধ্যে সমন্বয় সাধনই বৈঠকের প্রধান উদেশ্য ছিল। বার সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিক জানান, হাইকোর্টের কোনও বিচারপতির এজলাস বয়কটের কোনও প্রস্তাব ছিল না। গুজবে কান দিয়ে বিষয়টিকে জটিল করা হয়েছে।সব পক্ষের আইনি যুক্তি শুনে বিচারের কাজ করেন বিচারপতিরা। সেখানে কেউ জয় পাবেন তো কেউ হারবেন৷ এটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন : গলায় আটকে কৌটো, ৮ মাসের শিশুকে বাঁচাল এসএসকেএম
এর আগে বিচারপতি অশিস চক্রবর্তী বেঞ্চ প্রায় সপ্তাহ খানেক কার্যত বয়কট করা হয়। আইনজীবী পার্থ ঘোষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বিচারপতি, এই অভিযোগে চলে কর্মবিরতি। তখন অবশ্য বার পরিচালনার ভার ছিল বিজেপি সমর্থিত আইনজীবীদের কাঁধে৷ সেই প্রসঙ্গও টেনে আনছেন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত আইনজীবীরা। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সরাসরি এজলাসে দুর্ব্যবহার করেছেন কোনও আইনজীবীর সঙ্গে, সেই নির্দিষ্ট উদাহরণ কোথায়। পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ছেন বাম, বিজেপি, কংগ্রেসের সমর্থিত আইনজীবীরা। আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা হাইকোর্টের বিচারবিভাগে চোখরাঙানির চেষ্টা করে, যদিও আজ তা ব্যর্থ হয়েছে।