প্রসঙ্গত, এই ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশাসনিক নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, দেশের প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপও চান। সরকারি চাকরিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের হাত বেঁধে দেওয়া নিয়ে সরব হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: দেশে জ্বালানি তেল ফুরাচ্ছে, বাড়ন্ত কেরোসিন, চলে যাচ্ছে চোরা কারবারিদের কাছে!
advertisement
গত মাস দুয়েকের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর দেওয়া চারটি সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাগুলির নথি এবং সেই সব মামলায় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেশের প্রধান বিচারপতি ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির বক্তব্য ছিল, ‘দেশ দেখুক, বিচার করুক বেআইনি চাকরি দেওয়া নিয়ে কী চলছে।''
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড়লোক হয়ে গিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, কী এই জিলিকা ক্রিপ্টো?
এসএসসি-র উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার সম্পত্তির হিসেব নিয়ে তাঁর দেওয়া নির্দেশের উপরও ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, সিল বন্ধ খামে দিতে হবে হিসেব। খোলা যাবে না সেই খাম। সেই মামলার শুনানিতেও প্রকাশ্যে আসে বিচারপতির অসন্তোষ। যদিও সিবিআই তদন্তে অনড় বিচারপতি। আদালতের নির্দেশ অনুসারে সোমবার পর্যন্ত তাঁকে জেরা করতে পারবে না সিবিআই। তবে বাকি চার কর্তাকে জেরা করা যাবে। প্রয়োজনে বাকি চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করতে পারবে সিবিআই, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে ডিভিশন বেঞ্চের সরে দাঁড়ানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।