দু পক্ষের সওয়াল জবাবের পর পর্যবেক্ষণে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘সিবিআই তদন্তের নামে কিছুই করেনা। সিবিআই শুধু গ্যালারি শো করে। এখন সিবিআই গ্যালারি শো করে।
খেজুরির দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় দুটি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সামনে এসেছে৷ ময়নাতদন্তের দুটি রিপোর্টে দু রকম বয়ান রয়েছে৷ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হয়৷ এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃতদেহে আঘাতের কথা বলা হয়৷ দুই সরকারি হাসপাতালের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দু রকম বয়ান কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাইকোর্টও৷
advertisement
যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত হাইকোর্টে দাবি করেছিলেন, দুটি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনও ফারাকই নেই৷ মৃতদেহ সংরক্ষণে গাফিলতির কারণে মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন তৈরি হতে পারে৷ এই ঘটনার কোনও সাক্ষীই আঘাত, অত্যাচারে মৃত্যুর কথা জানাননি। অ্যাডভোকেট জেনারেল দাবি করেন, ‘প্রথম ময়নাতদন্তের ভিডিও ফুটেজও রয়েছে৷ কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।’ তিনি আরও যুক্তি দেন, ‘ময়নাতদন্তে আঘাতের চিহ্ন আসতে পারে, এটা সম্ভব। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেই জেনেছি। প্রথম ময়নাতদন্তের পর দেহ সংরক্ষণে গাফিলতি থাকতে পারে, সেখানে আঘাতের চিহ্ন আসতে পারে। দেহে পচন ধরার পর এ রকম কিছু পরিবর্তন হতে পারে। ফলে, দুই ময়নাতদন্তে তাই কোনও ফারাক নেই।’
এ দিনের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘দুই রকমের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আছে৷ হাইকোর্টের নজরদারিতে ডিআইজি-র নেতৃত্বে সিট গঠন করে তদন্ত করলে মামলাকারীদের পক্ষে সেটা অনেক ভাল হবে। ১ মাস পর তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করবে সিআইডি।’ মঙ্গলবার সকালে মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট৷