আগামী সোমবারের মধ্যে এ বিষয়ে হলফনামা তলব করল প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের। পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার।
জনস্বার্থ মামলাকারি বিমল ভট্টাচার্যের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, ''পরিস্থিতি খুব খারাপ। বিধাননগরে ২৩ টি কনটেইনমেন্ট জোন আছে। তাই এই পরিস্থিতিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক।''
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অবশ্য যুক্তি, ''নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেছে। আমাদের এই পরিস্থিতির মধ্যেই জীবন চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ট্রেনে করে লোক আসছে, বাজারে যাচ্ছে। মাস্ক , স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। কোভিড বিধির ওপর আমরা জোর দিচ্ছি।'' এরপরই
advertisement
রাজ্যের তরফে বলা হয়, ''ভোটের ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করে। রাজ্যের কোন সাহায্য প্রয়োজন হলে আমরা করতে পারি।''
আরও পড়ুন: পিছিয়ে যাবে চার পুর নিগমের ভোট? আসরে BJP, গঙ্গাসাগরেও 'নিয়ন্ত্রণের' দাবি
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র হাইকোর্টে জানান, ইতিমধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেছে। সব রকমের করোনাবিধি মেনে নির্বাচন হবে। সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করছে কমিশন। আমরা মঙ্গলবারের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে চাই।'' কমিশনের আর্জির প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ''খুব দেরি হয়ে যাবে।' তখন সোমবারের মধ্যে কমিশন হলফনামা জমা দেওয়ার কথা জানায়।
আরও পড়ুন: ফের আসরে SFI, রেড ভলান্টিয়ার্সের পর এবার শুরু নতুন জনমুখী পরিষেবা! জানুন...
প্রসঙ্গত, এদিনই পুরভোট অন্তত এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ''এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে ভোট করা সম্ভব নয়। এই নির্বাচন অন্তত এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।'' বিজেপি নেতার আরও সংযোজন, ''ভোট না পিছোলে সংক্রমণ রোখা অসম্ভব। সেইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা হোক গঙ্গাসাগর মেলাও। করোনা আবহে সাগর মেলা হলেও সংক্রমণ বাড়বে। ধর্মীয় ভাবাবেগ না দেখে তাই নিয়ন্ত্রণ করা হোক সাগর মেলা।'' যদিও বিজেপির ভোট পিছনোর দাবির পরই কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি বলেন, ''এই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক মাস ভোট পিছোতে। তাহলে কি ওঁরা জানেন, এক মাস পর আর করোনা থাকবে না! আসলে হেরে যাওয়ার ভয়ে, মানুষের প্রত্যাখ্যানের ভয়ে অজুহাত খোঁজা হচ্ছে।''