তবে মেলার (Gangasagar Mela 2022) অনুমতি দিতে গিয়ে কোভিড বিধি মানার জন্য একাধিক কড়া শর্ত বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট৷ মেলার আয়োজনে হাইকোর্টের এই সব নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট৷ সেই কমিটিতে থাকবেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি, বিরোধী দলনেতা বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব বা তাঁর মনোনীত রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি৷
advertisement
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়েই পুরভোট নাকি পিছোচ্ছে? সব নজর মঙ্গলবারের দিকে...
মেলায় হাইকোর্টের নির্দেশ সবদিক দিয়ে মানা হচ্ছে কি না, তা প্রতিদিন খতিয়ে দেখবেন এই কমিটির সদস্যরা৷ কোনও শর্ত মানা না হলে অথবা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ততক্ষণাৎ মেলা বাতিলের ক্ষমতা থাকবে এই কমিটির হাতে৷
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন অভিনন্দন মণ্ডল নামে এক চিকিৎসক৷ হাইকোর্টের রায়ের পর তিনি বলেন, 'শর্তগুলি পূরণ করে মেলার আয়োজন করা যাবে কি না, সেই প্রশ্ন থাকবেই৷ কী কী শর্ত হাইকোর্ট দিয়েছে তা আগে খতিয়ে দেখতে হবে৷ মৃত্যু মিছিল আটকানোই আমাদের লক্ষ্য ছিল৷'
আরও পড়ুন: পিছিয়ে যাবে চার পুর নিগমের ভোট? আসরে BJP, গঙ্গাসাগরেও 'নিয়ন্ত্রণের' দাবি
মামলাকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, নির্দেশিকায় হাইকোর্ট বলেছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পঞ্চাশ জনের বেশি একত্রিত হতে পারবেন না বলে যে নির্দেশ রাজ্য সরকার জারি করেছিল, তা গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রেও মানতে হবে৷ মেলা প্রাঙ্গনেও একত্রে পঞ্চাশ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না৷ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি জানিয়ে দিতে হবে বলেও হাইকোর্টের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে৷ মেলায় ভিড়় না করার জন্য সংবাদমাধ্যমে বেশি করে প্রচার করার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট৷
রাজ্য সরকারের তরফে সওয়ালে বার বারই দাবি করা হয়েছিল, সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হচ্ছে৷ আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে মেলা শুরু হওয়ার কথা৷ ইতিমধ্যেই সাধু সন্ন্যাসী সহ প্রায় তিরিশ হাজার পুণ্যার্থী মেলা প্রাঙ্গনে হাজির হয়ে গিয়েছেন বলে খবর৷