কে জুনিয়র মৃধা? ব্রাজিলের ফুটবলার জুনিয়রে'র ভক্ত ছিলেন বরানগরের সমরেশ মৃধা। শখ করে তাই একমাত্র ছেলের নাম রেখেছিলেন জুনিয়র। পেশায় সফটওয়্যার ডেভলপার ছিলো জুনিয়র মৃধা।
বরাহনগরের নিম্ন মধ্যবিত্ত বাড়ির জুনিয়র প্রেমে পড়েন মুনমুন-এর সঙ্গে। মুনমুন আসলে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী। পরে জুনিয়র জানতে পারেন মুনমুন আসলে বিবাহিত। ভাল নাম প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী। মোহনবাগান প্রাক্তন কর্তা বলরাম চৌধুরী'র পুত্রবধূ ছিল প্রিয়াঙ্কা। প্রেমের টানে সম্পর্ক এগোতে থাকে । ২০১১ সালের ১২ জুলাই রাত সাড়ে আটটার পর নিজের বাইক নিয়ে বেরিয়ে যায় জুনিয়র। তাড়াহুড়ো দেখিয়ে বাড়িতে জানিয়ে যায় সে,মুনমুন সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে । ওইদিনই জুনিয়র মৃধার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
advertisement
বরাহনগর থানায় এফআইআর হয় ১৩ জুলাই ২০১১। এরপর সিআইডি তদন্ত হাতে নেয় ২০১৭ সালে। সল্টলেকের মুনমুনদের বাড়ির কাছের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় জুনিয়র মৃধা বাইক নিয়ে ঢুকছেন। কিন্তু কখন তিনি ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তার কোন ফুটেজ পায়নি পুলিশ । মোহনবাগানের প্রাক্তন কর্তা বলরাম চৌধুরীও ডিভিশন বেঞ্চে আপীল করেন ৷ রাজ্য ও মোহনবাগান কর্তার আপীল এদিন একসঙ্গে শোনে আদালত ৷
সমরেশ মৃধার আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের বলেন,"অভিযুক্তরা নার্কো টেস্টে স্বীকার করে নেয় তারা মিথ্যে তথ্য দিয়েছে। যদিও লাই ডিটেক্টর টেস্টে অভিযুক্তরা হাত ফসকে বেড়িয়ে যায়। রহস্যভেদের প্রয়োজনেই সিবিআই সওয়াল করি আদালতে।" সিআইডি জুনিয়র খুনের চার্জশিট দেয় আদালতে। বুলেট বিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছে জুনিয়র চার্জশিটে জানায় সিআইডি। তবে খুনিদের হদিশ দিতে ব্যর্থ হয় সিআইডি। আর তাই জুন ২০১৯ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশে সিলমোহর দিল।
ARNAB HAZRA