কলকাতা: হাইকোর্ট প্রশাসন ও রাজ্যের অন্যান্য আদালতের প্রশাসন চালাতে অর্থ বরাদ্দ করছে না রাজ্য। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ভার্চুয়ালি এজলাসে রেখে বার্তা বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের। নিয়ম মেনে টাকা চাওয়ার পরেও কেন মেলেনি? মুখ্যসচিবকে ১৭ সেপ্টেম্বর জানাতে নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।
পুরো বিষয়ের খোঁজ খবর নিয়ে আদালতকে তথ্য জানাবেন বলে এদিন জানালেন মুখ্যসচিব। বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, ‘সংবিধানের ২২৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট ও রাজ্যের জুডিসিয়াল কাজের যাবতীয় খরচ দেবে রাজ্য৷ মুখ্যসচিব সংবিধানের এই অংশটা দেখুন।’ পাল্টা মুখ্যসচিব বলেন, ”হ্যাঁ, স্যার।”
advertisement
তথ্য দিয়ে বিচারপতি বসাক বলেন, ২০২৪ সালে নির্দিষ্ট ভাবে খরচের জন্য অর্থ চাওয়া হলেও তা রাজ্য দেয়নি কেন? ইন্টারনেট পরিষেবা অনেক জায়গায় নেই। কার্টিজ, কাগজ নেই। সিসিটিভি ফুটেজ ডিসেম্বর, ২০২৪ চেয়েও পাওয়া যায়নি। হাইকোর্ট বিল্ডিং কমিটি অনুমোদন প্রাপ্ত ৫৫ প্রোজেক্টের ৫.৬৯ কোটি টাকা দেয়নি রাজ্য। আরও ৩০ প্রোজেক্টের ৪ কোটির ওপর টাকা দেওয়া হয়নি। হাইকোর্টে মূলভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে মেডিক্যাল ইউনিটের অর্থ জোটেনি৷ আইনজীবী বা বিচারপ্রার্থীরা অসুস্থ হলে চিকিৎসা পাবে না। জুডিসিয়াল ডিপার্টমেন্টে জানানোর পরেও টাকা পাওয়া যায়নি।
মুখ্যসচিব এরপর বলেন, ”গত ২৫ অগাস্ট হাইকোর্ট প্রশাসনের হলফনামা থেকে জানলাম ১০.৪১ কোটি টাকা বাকি আছে।” – মুখ্যসচিব। হাইকোর্ট প্রশাসনের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”জেলা জুডিসিয়ারির প্রশাসনিক কাজে এপ্রিল মাসের শুরুতে ৫ লক্ষ টাকা প্রাপ্য। বছর শেষে মার্চ মাস শেষ হওয়ার ১৫ দিন আগে কিছু টাকা দেওয়া হয়। ১৫ দিনে তা খরচ না হওয়ায় ফিরে যায়।” এর পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যসচিব বলেন, পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আদালতকে জানাতে পারব। ৭ দিন সময় দেওয়া হোক।” এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ”৭ দিনে অবস্থান জানান। ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর দুটোয় মামলা রাখছি।”