২৮ এপ্রিল প্রথম গ্রেফতার করে এসিবি। তেহট্টের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের আপ্ত সহায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ককে গ্রেফতার করে তারা। যদিও মূল অভিযুক্ত ছিলেন বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হবে না কেন। কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা ঠোকেন ইউসুফ আলি শেখ। তাঁর করা মামলাতেই বিচারপতি শম্পা সরকারের নির্দেশ, অভিযোগ থাকা বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করবে দুর্নীতি দমন শাখা। তবে চাকরির দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের প্রশংসায় হাই কোর্ট।
advertisement
আরও পড়ুন- দক্ষিণবঙ্গে আজও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন
রাজ্যের ACB প্রশংসা করে আদালত। বিধায়ক তাপস সাহা'র বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি শম্পা সরকারে'র তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, ‘‘যে সাহস ও ক্ষিপ্রতার পরিচয় তদন্তকারীরা দিয়েছে তা বজায় রাখুক। পরবর্তী তদন্তের অগ্রগতিতে তা বজায় থাকুক।’’ আইনজীবী জাইদ হুসেন জানান, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের বিশদ অগ্রগতি রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্ট। ১৪ নভেম্বর রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ সরকারি আইনজীবী শুভব্রত দত্ত আদালতে জানান, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতারের পাশাপাশি একাধিক নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি মিলিয়ে দেখার কাজ চলছে। নথির সই মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- মানিক ভট্টাচার্যকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, এর পিছনে কারণ জানুন
CID কোয়েশ্চেন ডকুমেন্টস ব্যুরো বিশেষজ্ঞ'দের রিপোর্টও পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সাল ও তার আগে থেকেই টাকার বিনিময়ে চাকরি দিচ্ছেন বিধায়ক তাপস সাহা। নদিয়ার তেহট্ট থানায় প্রথমে এমন অভিযোগ হয়। পরে চাকরি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার নেয় রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা (ACB) । মূলত প্রাথমিক চাকরির অভিযোগ। বিধায়কের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার হয় ৷ কিন্তু বিধায়কের বিরুদ্ধে নীরব ACB । এই অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেন ইউসুফ আলি শেখ।