অবৈধ বাজি তৈরি ও বিক্রি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সহযোগিতা করেছে কি না তাও উল্লেখ করতে হবে সেই রিপোর্টে। পুজোর ছুটি শেষে তিন সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তা দেখে মনে হচ্ছে রাজ্যের কোনও সদিচ্ছা নেই এই সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের পূর্বের তৈরি নির্দেশিকা কার্যকর করার। বৈধ সবুজ বাজি তৈরি ব্যাতীত অননুমোদিত বাজি তৈরি ও বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার। কি পদক্ষেপ করা হবে সেই বিষয়ে নিজেরাই অন্ধকারে প্রশাসন। সব সক্রিয়তা শুধু কাগজে কলমে। বাস্তবে কিছুই হয়নি, এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। কোন বাজি অনুমোদিত এবং কোন বাজি অবৈধ সে বিষয়েও স্পষ্ট অবস্থান নেই রাজ্যের।
advertisement
মামলাকারী সংস্থা সবুজ মঞ্চের আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তীর অভিযোগ, অনিয়ন্ত্রিতভাবে সারা রাজ্যেই বাজি বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে অথচ অবৈধ বাজি বিক্রি আটকাতে কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশের উপর ভিত্তি করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের নির্দেশিকা অনুযায়ী শুধু পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজিকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে অননুমোদিত এবং অবৈধ বাজি তৈরি ও বিক্রি বন্ধ করার,বাজির দোকান ও গুদামে নিয়মিত তল্লাশি চালানোর এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে দায়িত্ব নির্ধারণ করার নির্দেশ দিক আদালত।
রাজ্যের গভর্নমেন্ট প্লিডার অমিতাব্রত রায় জানান, এই বিষয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত রাজ্যের সব জেলায় পাঠিয়ে তা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফেও পদক্ষেপ করা হচ্ছে বেআইনি বাজি তৈরি ও বিক্রি আটকানোর।