২৭২৬৭ চার্জশিট বিধিবদ্ধ সময়সীমার মধ্যে দিতেই পারেনি পুলিশ। এরমধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ অর্থাৎ রাষ্ট্রদোহিতা এছাড়া অপহরণ সহ জঘন্যতম অপরাধের চার্জশিটও আটকে রয়েছে অসংখ্য। অনেক মামলার চার্জশিট হয়নি ১২ বছরেও। এমন তথ্যে বেজায় ক্ষুব্ধ কোলকাতা হাইকোর্টে-র ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ডিভিশন বেঞ্চ। অ্যাডভোকেট জেনারেলের সওয়ালেও চিঁড়ে ভেজেনি। তাই আদালত বান্ধব নিযুক্ত করলো হাইকোর্ট। আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালত বান্ধব নিযুক্ত করা হয়েছে। ভুল তথ্য দিয়ে হাইকোর্টকে বিপথে চালিত করে বিপাকে CID। সিআইডি'র দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
advertisement
১০ অগাস্ট পদক্ষেপ কী তা জানাবে হাইকোর্ট। ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ডিভিশন বেঞ্চে। সিআইডি আদালতে জানায় রাজ্যে চার্জশিট ফাইল না হওয়া মামলা ৯৯৯। অথচ রাজ্যের সব জেলার আদালতের রিপোর্টে উঠে আসে সঠিক তথ্য ২৭২৬৭। যদিও রাজ্যের যুক্তি, মামলাগুলির চার্জশিট দিতে না পারার কারণ একাধিক। বিভিন্ন ল্যাবরেটরির রিপোর্ট না এসে পৌঁছানো, অনুমতির অপেক্ষায় কিছু চার্জশিট, বিশেষজ্ঞ পরামর্শের কারণে আটকে অনেক চার্জশিট। আবার অনেক অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়াও কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে একটি জামিনের মামলার প্রেক্ষিতে প্রথমে বিষয়টি নিয়ে নড়াচড়া হয়। তথ্য চাইতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর চার্জশিট তথ্য। ১০-১২ বছরেও কেন পেশ হবেনা জঘন্যতম অপরাধের চার্জশিট ! এই প্রশ্নটাই কঠোর হতে বাধ্য করেছে হাই কোর্টকে, অন্তত নির্দেশনামা সেই তথ্যই বলছে।
