শুধু তাই নয়, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত এই চিকিৎসাধীন প্রভাবশালীদের স্বাস্থ্যের বর্তমান কী অবস্থা এবং তাঁদের সুস্থ হতে কতদিন সময় লাগবে, তাও হলফনামা আকারে এসএসকেএমের ডিরেক্টরকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷
এসএসকেএম হাসপাতালে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার প্রভাবশালী অভিযুক্তদের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে এ দিন একগুচ্ছ পর্যবেক্ষণ এবং মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচাপতি৷ যা রাজ্যের পক্ষে যথেষ্টই অস্বস্তিকর৷ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সহ কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়া একাধিক অভিযুক্তর আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রভাবশালীরা হাসপাতালের বেড দখল করে রেখেছেন। এই অভিযোগে দায়ের হয় জোড়া জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই এ দিন এই সমস্ত মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চের দরজায় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র
প্রধান বিচারপতি আরও জানতে চান, কেন শিশুদের জন্য বরাদ্দ বেডে রাখা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে? হালকা মেজাজে কার্যত ব্যঙ্গ করেই তিনি বলেন, এসএসকেএম হাসপাতালে প্রভাবশালীদের রাখার জন্যই আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করা হোক৷
এ দিন প্রধান বিচারপতি বার বারই জানতে চান, যে প্রভাবশালী অভিযুক্তরা এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাঁদের সুস্থ হতে কতদিন সময় লাগবে? তিন মাস না আরও চার মাস? এর জবাবে সরকারি আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় জানান, সেটা চিকিৎসকরাই বলতে পারবেন৷
জেল থেকে প্রভাবশালীদের এসএসকেএম হাসপাতালে এনে চিকিৎসা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, কাউকে গ্রেফতার করার পরেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়, তিনি সুস্থ হলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে জেলে পাঠানো হয়। শরীর খারাপ হলে জেলের হাসপাতালে পাঠানো হয়, আরও শরীর খারাপ হলে বড় হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিন – চারদিন পরেই জেল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। সুস্থ হলে আবার জেলে ফেরত পাঠানো হয়৷ অভিযোগ, যে এক্ষেত্রে এসব হচ্ছে না। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, এসএসকেএম হাসপাতাল প্রভাবশালী অভিযুক্তদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্যি হলে সেই অভিযোগ গুরুতর৷