উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার এক পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এর পরই স্বরূপনগরের কাবুলপুরের নিত্যানন্দ ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী আলপনা ঘোষকে বাড়িতে ফেরানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালের ২২ অগস্ট। সে দিন কাবিলপুরে 'কালা জাদু' আতঙ্কে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কালা জাদু করে এলাকায় এক শিশু খুনের পর আরও দুই শিশুকে মারার চেষ্টা করেছে আলপনা ঘোষ বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
advertisement
আরও পড়ুন: সারারাত চলবে মেট্রো! পুজোয় চলুক প্যান্ডেল হপিং! সপ্তমী থেকে নবমী দেখে রাখুন সময়সূচি
বর্তমানে জামিন পেয়েছেন আলপনা ঘোষ। তবু নিজেদের ঘরে ফিরতে পারছেন না এলাকাবাসীর বাধায়। পুলিশও নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ তাঁর। আদালতের নির্দেশে জেলে যান আলপনা ঘোষ। বেশ কিছু দিন জেলা খাটার পর জামিনও মেলে। তবে নিজের বসত ভিটেতে আর ঢুকতে পারেননি তাঁরা। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। গ্রামবাসীরা কার্যত এক জোট। ঘোষ দম্পতিকে ঢুকতে না দেওয়ার পিছনে তাদের যুক্তি, মছলন্দপুরের তান্ত্রিকের নিদানে কালা জাদুর ক্যারিশমা দেখাতে গিয়ে পর পর শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এক শিশু মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই সুখবর, ষষ্ঠীর আগেই খুলে যাচ্ছে টালা ব্রিজ! জানুন বিস্তারিত...
আদতে গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, ঘোষ দম্পতির বৌমার কিছুতেই সন্তান হচ্ছিল না। তান্ত্রিকের পরামর্শে কালা জাদুর পথ বেছে নেন তাঁরা। আশপাশের পড়শির তিন শিশুকে খতম করতে পারলেই সন্তানসম্ভবা হবেন তাঁদের বৌমা। অভিযোগ 'টোটকা' মেনে, তৃতীয় বার কালা জাদুর প্রয়োগ করতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়েছেন নাকি আলপনা। এই অবস্থায় তাঁরা গ্রামে ফিরলে অনেক শিশুর ফের ক্ষতি হতে পারে এই আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা। পুলিশও এই বিশ্বাস থেকে টলাতে পারেনি গ্রামবাসীদের। আইনজীবী মলয় ভট্টাচার্য ও মীনাক্ষী ঘোষ জানান, ঘোষ দম্পতিকে তাঁদের বাড়িতে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। প্রয়োজনে বাড়িতে পুলিশ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবে।