সিএবি থেকে বিদায় নেওয়ার তালিকায় প্রথমেই যাঁর নাম ৷ তিনি হলেন কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে ৷গত দশ বছর ধরেই সিএবি-তে কোনও না কোনও পদে রয়েছেন তিনি ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো এবার তাঁর সরে যাওয়ার পালা ৷ এতদিন তিনি ভেবেছিলেন সিএবিতে না হলেও বোর্ডের রাস্তা তো খোলাই আছে ৷ কারণ সেখানে তো তাঁর ৯ বছর হয়নি ৷ কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি ৯ বছর কোনও রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় থাকার পর আর বিসিসিআইয়েরও কোনও পদে ফিরতে পারেবন না ৷
advertisement
বুধবার সন্ধ্যায় ইডেন ক্লাব হাউসের তিনতলায় সিএবি-র শীর্ষকর্তা ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা বসেছিলেন সিএবি-র পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করার জন্য। সন্ধ্যায় বৈঠক চলাকালীন রীতিমতো ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায়।আইনি উপদেষ্টা ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সিএবি থেকে এ বার বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে-র। তিনি যেহেতু দশ বছর সিএবি-র শীর্ষকর্তা বা অফিস বেয়ারার থেকেছেন, তাই তাঁর আর ক্রিকেট প্রশাসনে ফেরার কোনও পথ নেই। তবে যুক্তি শেষ হচ্ছে না বিশ্বরূপ দে-রও ৷ গত ১০ বছরে তিনি সহ-সচিব ছিলেন সিএবি-র ৷ সহ-সচিবকে যেহেতু বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচিত করা হয় না ৷ তাই তাঁর মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি ৷ দশের জায়গায় তি্নি আট বছর সিএবি-তে অফিস বেয়ারার হিসেবে আছেন ৷ তিন বছরের কুলিং অফ পিরিয়ড কাটিয়ে ফের তিনি এক বছরের জন্য ফিরতেই পারেন ৷ আগামী সোমবার সিএবি-তে জরুরি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই এজিএমের দিন ঠিক হবে ৷ পাঁচটি শীর্ষপদ প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব, যুগ্মসচিব ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন করতে হবে সিএবি-কে।থাকছে না সহ-সচিব পদ ৷ ততদিন পর্যন্ত বিশ্বরূপবাবুরা কী করেন, সেটাই এখন দেখার ৷ কারণ বিদায় যে আসন্ন, সেটা ভালমতোই টের পাওয়া যাচ্ছে এখন ৷