আরও পড়ুন: কলকাতায় ধেয়ে আসছে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি! ভিজবে আরও ৪ জেলা, আবহাওয়ার বড় খবর
সল্টলেকের এই বৈঠকেও সেই উদ্বেগের রেশ দেখা গেছে। বৈঠকে মূলত সিএএ-এর অধীনে দ্রুত আবেদন জমা দেওয়ার কর্মসূচি স্থির করা হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, আরএসএস চায় যাতে যোগ্য ব্যক্তিরা কোনো ভয় বা উদ্বেগ ছাড়াই নির্ভয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং দ্রুত নাগরিকত্ব পেতে পারেন। এই প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করার জন্য একটি নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এই অভিযানে আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠন মাঠে নামলেও, এই কর্মসূচির অগ্রণী ভূমিকায় থাকবে বিজেপি। এই বৈঠক থেকে স্পষ্ট যে, আসন্ন নির্বাচনের আগে সিএএ ইস্যুকে সামনে রেলে জনসংযোগ বাড়াতে চায় বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্য ছেড়ে পালিয়েও হল না শেষরক্ষা, কলকাতা ফিরতেই পুলিশের জালে হরিদেবপুরকাণ্ডের অভিযুক্ত
সূত্রের খবর সিএএ-র আওতায় যাঁরা পড়ছেন, তাঁদের সকলের আবেদন যাতে দ্রুত জমা পড়ে, সকলে যাতে নির্ভয়ে নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন জমা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট কর্মপন্থা স্থির হয়েছে বিজেপি-আরএসএস বৈঠকে। আবেদনকারীরা যাতে সকলে নাগরিকত্ব পেয়ে যান, তা-ও দেখা হবে। আরএসএস-এর ছাতার তলায় থাকা বিভিন্ন সংগঠন এর জন্য ময়দানে নামবে। তবে এই অভিযানে যে বিজেপিকেই মূল ভূমিকা নিতে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর অনেকেই সে বিষয়ে নিশ্চিত। বিজেপি এবং আরএসএস-এর মধ্যে সমন্বয় বৈঠক অবশ্য নতুন কিছু নয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিয়মিত এই বৈঠক হয়।
কিন্তু বিধাননগরে যে ভাবে বৈঠক হল এবং তাতে দুই সংগঠনের প্রতিনিধিত্বের যে বিন্যাস দেখা গেল, এই ধরনের বৈঠকে তা বেশ বিরল। জরুরি ভিত্তিতে কোনও বিষয় নিয়ে মাঠে নামার জন্যই যে এই বিশেষ সমন্বয় বৈঠক, তা আরও স্পষ্ট হল। আরএসএস-এর পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় পদাধিকারী প্রদীপ যোশী, রমাপদ পাল, জলধর মাহাতো এবং জিষ্ণু বসুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা। অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষও এই বৈঠকে যোগ দেন। রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধি বিধায়ক দীপক বর্মন, মধ্যবঙ্গের প্রতিনিধি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং দক্ষিণবঙ্গের প্রতিনিধি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও জেলা স্তরের নেতাও বৈঠকে যোগ দেন।