এতে মতুয়ারা উচ্ছ্বসিত। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নাগরিকত্বের। প্রথমে বিল। তারপর আইন। আইন তৈরির চার বছর পরে জারি হল রুল। চালু হল আইন। কিন্তু, তাতে তরজা থামছে না। শাসক শিবির ঘনিষ্ঠ মতুয়াদের কথায়, সিএএ কার্যকর হওয়ায় সবচেয়ে বড় ক্ষতি হল মতুয়াদের। এরা সত্যি সত্যি অধিকার থেকে টোটাল বঞ্চিত হয়ে যাবে। তাদের আর কেউ বাঁচাতে পারবে না। ফর্ম ভরার পরে। পাল্টা শান্তনু ঠাকুরের কথায়, ‘‘অশিক্ষিতদের মতো কথা বলছে তৃণমূল।’’ মতুয়া। বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তু। দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে মতুয়াদের প্রভাব।
advertisement
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে এই মতুয়াদের সিএএ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি। এর ফলও মেলে। রাজ্যের মতুয়া প্রভাবিত বনগাঁ এবং রাণাঘাট লোকসভা আসনে উনিশের ভোটে পদ্ম ফোটে। ২০১৯-এ আইন তৈরি করলেও এতদিনে তা কার্যকর করেনি মোদি সরকার। এতে মতুয়াদের অনেকের মনেই সিএএ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ‘‘এর প্রভাব পড়ে একুশের বিধানসভা ভোটে।’’ পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যের মতুয়া প্রভাবিত ৮৩ বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫৩টিতে জেতে তৃণমূল। ৩০টিতে বিজেপি।
আরও পড়ুন– এই ভুল করলেই সর্বনাশ ! সঙ্গে সঙ্গে খারাপ হবে ওয়াশিং মেশিন, আপনার যা করা উচিৎ
দক্ষিণবঙ্গে যেমন মতুয়া, তেমনই উত্তরবঙ্গে রাজবংশীদের দাবি ছিল সিএএ। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর এবং উত্তর মালদহে এই রাজবংশীরা ফ্যাক্টর। উত্তরবঙ্গে রাজবংশী ভোট প্রায় তিরিশ শতাংশ । উত্তরবঙ্গের ৫৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে তিরিশটি আসনে রাজবংশী ভোট ২৫ শতাংশের বেশি। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে সিএএ চালু করে দিল মোদি সরকার। এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের ভোটে কতটা পড়ে সেটাই এখন দেখার।