রাজ্যপাল বলেন, “আজ আমাদের একটা ভাল বৈঠক হয়েছে। দুজন উপাচার্য বাইরে থেকে এসেছেন গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশ থেকে। শিক্ষাতে যে পেন্ডিং ইস্যুগুলো ছিল, তা নিয়ে আলচনা হয়েছে। শূন্যপদগুলো পূরণ করব, যে অধ্যাপক নিয়োগ করার প্রয়োজন আছে। নিয়োগ হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে। পুরনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না আমি। আমি নিজে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এর ফাইলে সই করেছি। খুব বেদনা নিয়ে। তাই আমি বলে দিয়েছি নিয়োগ নিয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে।”
advertisement
তিনি আরও বলেন, “অধ্যাপক নিয়োগ এর জন্য বিশেষজ্ঞ রাজ্যের বাইরে থেকে আনা হবে। উপাচার্যারাই আমাকে বলেছেন, আমি সেটায় সিলমোহর দিয়েছি। রাজভবনে পিস রুম চালু আছে। বিশ্ববিদ্যালয় এর স্বশাসনে কোনও রকম হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করব না। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার আছে, তাই নিয়ে পদক্ষেপ হবে। ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করা যাবে না। আমাদের এই রাজ্যের পড়ুয়ারা সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করছে।”
রাজ্যপাল বলেন, “এখানে খুব কম ফ্যাকল্টিদের ইমপ্রুভমেন্ট এর জায়গা দেওয়া হয়।এখানে অনেক এম্বাসেডর আছে।অনেকেই আদানপ্রদান প্রোগ্রাম করতে চায়। সিন্ডিকেট, কোর্ট, কাউন্সিল এর সব সদস্য দের নিয়ে নিয়োগ করা হবে দ্রুত। রাজভবন একটা নতুন প্রোগ্রাম করেছে। যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবেন।”
তিনি বলেন, “রাজ্যপাল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লড়াই এর জায়গা নয় তাহলে ছাত্ররা সমস্যায় পড়বে। সরকার, রাজ্যপাল সবাই সহযোগিতা করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। শিক্ষামন্ত্রী যা বলছেন তা নিয়ে বলতে চাই যেটা হয়ে গেছে, সেটা হয়ে গেছে। এটা খুব বেদনার জায়গা একজন মন্ত্রী দুর্নীতিতে জড়িত।”
আরও পড়ুন, হাতে আসবে টাকা-মিলবে চাকরি! অগাস্টেই ‘ভাগ্যবদল’ হবে ৪ রাশির
আরও পড়ুন, ‘তৃণমূল নেতাদের স্ত্রীরা…’, শতাব্দীর মন্তব্যে তুমুল শোরগোল! পাল্টাবে বীরভূম?
পাল্টা ব্রাত্য বসু বলেন, “উচ্চশিক্ষায় নজিরিহীন হস্তক্ষেপ হচ্ছে। বিরোধী পক্ষকেও বলব নজিরবিহীন হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে নির্বাচিত সরকারের পাশে থাকুন। রাজ্যপাল এই স্বৈরাচার চালাতে পারেন কিনা তা জানতে আমরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।”