পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছিলেন বিজেপি এক্ষুনি উপনির্বাচন চাইছিল না। তারা করোনাকেই ঢাল হিসেবে সামনে রাখছিল। উল্টো দিকে তৃণমূল যুক্তি দিচ্ছিল করোনার মধ্যেই তো এত বড় নির্বাচন আট দফায় হয়েছে তবে উপনির্বাচনে বাধা কোথায়! যুযুধান দু'পক্ষের বাদানুবাদের মধ্যেই কমিশন তিনটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের কথা ঘোষণা করল। তবে কমিশন স্পষ্ট ভাবে জানাচ্ছে, কঠোর ভাবে করোনা বিধি মেনেই এই উপনির্বাচন করতে হবে।
advertisement
উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে যে নিয়মাবলী রাখছে কমিশন-
• রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে রোড শো করা যাবে এই উপনির্বাচনে।
• বাইক/সাইকেল নিয়ে মিছিল করা এই পর্বে নিষিদ্ধ।
• রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে স্ট্রিট কর্নার মিটিং করা যাবে।
• বাড়িবাড়ি প্রচারের ক্ষেত্রে প্রার্থীসহ পাঁচজন যেতে পারবে।
• সিইও অনুমতি সাপেক্ষে ভিডিও ক্যাম্পেইনিং করা যেতে পারে, তবে সেখানেও ৫০ জনের বেশি থাকতে পারবে না।
• একেকটি কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ২০ জন তারকাকে প্রচারের ক্ষেত্রে ব্য়বহার করা যাবে। তারকা প্রচারে সর্বাধিক ১০০০ জনের জমায়েত করা যাবে।
• রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে গাড়ি ব্যবহার করতে হবে।
• ভোটের কাজে যারা অংশগ্রহণ করবেন তাদের দুটি ডোজের টিকা নেওয়া থাকতে হবে।
• সাইলেন্স পিরিয়ড দেওয়া হয়েছে ৭২ ঘন্টা।
• ভোটের দিন প্রার্থীর গাড়িতে অন্তত পাঁচজন থাকতে পারবেন।
• সর্বোচ্চ দুটো গাড়ি রাখা যাবে প্রার্থীর সঙ্গে।
• গণনার পর কোনও ধরনের বিজয় মিছিল করা যাবে না।
নির্বাচন কমিশনের বিবৃতি অনুযায়ী, এই তিন কেন্দ্রেই ভোটের ফল ঘোষিত হবে ৩ অক্টোবর। ভবানীপুরের ক্ষেত্রে ভোটের লড়াইয়ে জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু ভোটে জিতে দিন কয়েকের মধ্যেই পদত্যাগ করেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তখনই বোঝা যায় এই কেন্দ্র থেকে লড়তে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণের ঠিক আগেই প্রার্থীরা মারা গিয়েছিলেন। এই তিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের কথা ঘোষণা করে দিল খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটা। শান্তিপুরে কবে ভোট হবে এ বিষয়ে কমিশন এখনও কিছু জানায়নি।