এবার পুজোটি হবে উল্লাসপুর গোপালপুর শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের মাঠে।উদ্যোক্তাদের কয়েকজন জানান, আমাদের এই মিশে থাকা গ্রামে দুটি মিলে গরিবদের এই সমবেত পুজো আগে ছিল না। পাশের দূরের গ্রামে বাবুদের বাড়িতে পুজো দেখতে যেত হয়। তাই আমরা ক্ষেতমজুরা মিলিত আহ্বানে এবছর প্রথম দুর্গাপুজো করছি আমাদের গ্রামে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কারিগর এলাকার সংস্থা "সহজ সেবা ও সংস্কৃতি শিক্ষা মিশন" এবং "পাণ্ডুরাজা প্রত্ন গবেষণা কেন্দ্র" লেখক রাধামাধব মণ্ডলের উদ্যোগে এসে পাশে দাঁড়িয়েছে এবং নানান লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করছে এই সংস্থাটিই।
advertisement
আরও পড়ুন - Lifestyle Tips: ভ্যাপসা গরমে কোনও সবজিই তরতাজা রাখা দায়! রইল টিপস
একসময় পাণ্ডুরাজার ঢিবি খনন করতে এসেছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ, সেই ১৯৬২,১৯৬৩,১৯৬৪,১৯৬৫ এবং ১৯৮৫ র খননে শ্রমিক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিল বেশি উল্লাসপুর গোপালপুর থেকেই। সেই খননের একমাত্র জীবিত শ্রমিক ভক্তিপদ মেটে বলেন, আমাদের দুই গ্রামের ছেলে মিলে এই পুজোটি করছে, সঙ্গে লেখক রাধামাধব মণ্ডলের বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে। আমাদের এবারের পুজোর থিম, ঐতিহ্যের বর্ধমান, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রশাসন।
মূল পুজোটি পরিচালনা করছে উল্লাসপুর গোপালপুরের ৩০ জন মহিলাদের একটি দল। তাদের মধ্যে রাখী মণ্ডল, তাপসী মেটে, মিতালি কর্মকার, বন্দনা ঘোষ, মিঠু মেটে, চিন্তা মেটেরা জানায়, পুজোর চারদিনই আমাদের এখানে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে গ্রামের 'পাণ্ডুরাজা প্রত্ন গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। আসছে কলকাতা থেকে কয়েকজন অভিনেতা, গায়ক গায়িকারাও।এবার এখানকার পুজোতে প্রতিমা গড়েছেন নিতাই পাল।
রায়বেশে দলের রণনৃত্য হবে নবমীর দিন। আসছে বীরভূমের রহরা রায়বেশে নৃত্যের দল। বাসুদেব ভল্লা আসছেন রায়বেশে রণনৃত্য দেখাতে। এছাড়াও উদ্যোক্তাদের পরিধন কর্মকার, অজয় মেটে, কালোসোনা মেটে, প্রদীপ ঘোষ, নিমাই মেটে, কালীদাস মেটে, সন্দীপ ঘোষ, রতন কর্মকার, সুমন ঘোষ, জগা ঘোষরা জানায়, আমাদের এই পুজোটির উদ্বোধন হবে মহাপঞ্চমীর দিন সন্ধ্যেবেলা। গ্রামের দুজন কৃষককে পুজো করার মধ্যেদিয়ে এই উৎসবের শুরু হবে এদিন।
ABIR GHOSHAL