আজ ইকোপার্কে প্রাত:ভ্রমণে এসে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh on BJP Bypoll failure) বলেন, "যেভাবে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে কাউকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া, প্রচার করতে দেওয়া, হোটেল, গাড়ি কোনও কিছুই দেওয়া হচ্ছে না, যাতে বিপক্ষ নির্বাচনে লড়তে না পারে। আগামী দিনে এমন হবে একটাই প্রার্থী হবে আর সেই প্রার্থীকে সবাইকে ভোট দিতে হবে। এক পার্টি গণতন্ত্র হয়ে যাবে আর বাকিরা কেউ নির্বাচন লড়তে পারবে না। টিএমসি সমস্ত ভোট পাবে।"
advertisement
পুর নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারবেন কি ? এ প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন,
"নিশ্চয়ই পারব। কী পরিস্থিতি হবে। কতটা হবে এখন তো আর জানা যাচ্ছে না। ভারতীয় জনতা পার্টি পুরোপুরি শক্তি দিয়ে নির্বাচন লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।"
আরও পড়ুন-আগামী মাসেই মেট্রো ছুটবে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত! অপেক্ষা স্রেফ সবুজ সংকেতের
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, গত পৌর নির্বাচনে বিধাননগরে সকাল ৬টার মধ্যে ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে, ভোট লুট হয়েছে। সাংবাদিক পাঠানো হয়েছে, ক্যামেরা ভাঙা হয়েছে। কলকাতা করপোরেশনেও ঠিক একই ভাবে হয়েছে। তারকেশ্বর বা আরামবাগে কাউকে কেন্দ্রে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বিনা কনস্টেটে নির্বাচন হয়েছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির কথায়, "পরবর্তী কালে সেটা পঞ্চায়েতেও হয়েছে। সেদিকেই যাচ্ছে বাংলার রাজনীতি। এরমধ্যেই আমাদের লড়তে হবে।"
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে চমক দিতে তৈরি তৃণমূল
কিন্তু শুধু দোষ চাপালেই কি হবে! কোনও দায় নেবেন না! উপ-নির্বাচনে হার নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন. "নির্বাচনের সময় আলাদা কূটনীতি কাজ করে, নির্বাচনের পর স্বাভাবিক রাজনীতি হয়। আমরা ২০২১ - জেতার পরে তিনটে বাই ইলেকশনে হেরেছিলাম। কিন্তু জেনারেল ইলেকশনে জিতেছি। কর্মীরা পার্টির আদর্শের জন্য কাজ করে। বাই ইলেকশনটা কোনও সিধান্তিক ব্যাপার নয়,এটা ব্যতিক্রম। সব জায়গায় তাই হয়েছে। জিততেই দেবে না কাউকে। নির্বাচনই করতে দেওয়া হচ্ছে না, প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ক্যান্ডিডেটকে ভোটটা পর্যন্ত দিতে দেওয়া হচ্ছে না। বাধা দেওয়া হয়েছে।"