সব্যসাচী দত্তকে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেষে মন্ত্রীপুত্রর গাড়িতে পিষে কৃষকের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সব্যসাচীর সপাট উত্তর, "কার গাড়ি সেটা বড়ো নয় ,যে ঘটনা ভাইরাল হয়েছে টিভিতে দেখছি। খুব দুঃখজনক, মর্মান্তিক ঘটনা। যে বা যারাই এটা করে থাকুক কঠোর থেকে কঠোরও তম শাস্তি এবং তাদের একটাই শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি, এছাড়া আর কোনও শাস্তি হওয়া উচিত না।"
advertisement
তৃণমূল প্রতিনিধি দল যাওয়া নিয়ে দিন কয়েক আগেই টিপ্পনী কেটেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সব্যসাচীর সে প্রসঙ্গে স্পষ্ট বক্তব্য, "সব দলের প্রতিনিধি যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। যতই টাকা থাকুক না কেন যদি কৃষক না থাকে খাবেনটা কি আপনি ?সেই জায়গায় সেখানে যেটা হয়েছে সেখানে আমার মনে হয় সেই রাজ্যের এবং দেশের প্রতি এটা কলঙ্কময় দিন।"
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য প্রসঙ্গেও সব্যসাচী বলেন, "এই নিয়ে কোনও কমেন্ট করার ভাষা নেই ।কৃষকদের এই ভাবে পিষে মারা হয়েছে সেটা ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত হোক তার পরে এই ধরণের কেউ কথা বলেন সেটা তাঁর চিন্তাভাবনা, তাঁর অভিপ্রায়. আমি তাঁর সম্বন্ধে কী বলব। তিনি মানুষকে পিষে মারাটা যদি সমর্থন করেন, আমি কিছু বলতে পারব না।"
প্রকারন্তরে কৃষি আন্দোলনকে সমর্থন করতেও শোনা গেল সব্যসাচীকে। তিনি বলেন, "আন্দোলন কী কারণে হচ্ছে কি ব্যাপার আমি সবটা জানি না। কিন্তু কোনও আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়া এটা কোনো পদ্ধতি হতে পারে না, একটা গণতান্ত্রিক দেশে। এটা তো আফগানিস্তানের তালিবান জমানা নয়।"
দলে ঠিক কতটা সক্রিয় তিনি, ধেয়ে এল এই অনিবার্য প্রশ্নও। সব্যসাচী বললেন, "২ মে-র পরে সে রকম কোনও সক্রিয় অনুষ্ঠানই হয়নি। অনুষ্ঠান হলে সেখানে উপস্থিত অনুপস্থিতির ব্যাপার।" স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ২ মে-র পর হেভিওয়েট উপনির্বাচন হয়ে গেল রাজ্যে। অথচ সব্যসাচী কোনও কার্যক্রমই দেখতে পাচ্ছেন না! তাঁর চোখ কি অন্য দিকে?
-Reporter: Anup Chakrabarty