আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ মে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বেসরকারি বাস সংগঠনগুলির একাংশ। একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া নিয়ে শহরের রাস্তায় বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার পরিবহণ দফতরের তরফে সেই বিষয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন পরিবহণ দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন। তবে সেদিনের বৈঠক নিষ্ফলা হয়। ফলে ধর্মঘট হচ্ছেই খবর ছিল বুধবার পর্যন্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: কিডনি বিকল হচ্ছে? সংকেত দেবে আপনার মুখ-পা! সময় থাকতে সতর্ক হন
বুধবার ফের বৈঠক হয়। লাগাতার বৈঠকের পরে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরিবহণ দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন বাস এবং মিনিবাস সংগঠনের মালিকদের আবেদন করেছিলেন, ধর্মঘট করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না বাড়ানোর জন্য। কিন্তু পাল্টা সংগঠনের মালিকরা জানান, তাঁরা পথে বসছেন।
আরও পড়ুন: আইপিএস অফিসার হতে চান? যোগ্যতা কী? পরীক্ষার পদ্ধতি-পাঠ্যসূচি নিয়ে বিশদে জেনে প্রস্তুতি শুরু করুন
অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির দাবি, ‘২০০৯ সালে ১৫ বছর বয়সের বিধি নিষেধ লাগু হয় মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ ক্রমে। বাস মিনিবাসের বয়স বৃদ্ধি করার এক্তিয়ার কেবলমাত্র আদালতের। বয়স বৃদ্ধির আবেদন আদালতে করা হয়েছে আমাদের সংগঠন ও সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস যৌথ ভাবে। ১৩ মে সংযোগ পোর্টাল, পুলিশ কেস সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছে মাননীয় পরিবহণ মন্ত্রী, পরিবহন সচিব এবং ডিজি পুলিশের সঙ্গে। সর্বোপরি ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল বিএস- ৬ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে কোনো বাস মিনিবাস চলবে না আদেশ দেন। পরিবহণ দফতর মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে সাময়িক স্থগিতাদেশ পান। বর্তমানে সেই মামলা শুনানির পর্যায়ে এসেছে। এখন আসু ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ সুপ্রিম কোর্টে পার্টি এড হয়ে মামলায় অংশ গ্রহণ করা। ইতিমধ্যেই আমরা পরিবহন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে পার্টি এড হওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেটের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি এবং অন্যান্য পদক্ষেপগুলি নেওয়া হচ্ছে। এই কাজগুলি না করে, যাত্রী পরিবহণের অস্তিত্ব রক্ষার থেকে ৭ মে-র পর, ৮ মে হঠাৎ করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্য যে বনধ্ তাকে আমাদের সংগঠন সমর্থন করছে না।’
আবীর ঘোষাল