অভাবের সংসারে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মানুষ করার তাগিদে ২২দিন আগে কলকাতায় রাজমিস্ত্রীর কাজে যায় নাসিম উদ্দিন সেখ। পরিবারে বাবা, মা, স্ত্রী, তিন সন্তান রয়েছে। স্ত্রী জেসমিনা খাতুন অন্তঃসত্ত্বা। কলকাতার গার্ডেনরিচে একটি নির্মীয়মান বহুতলে কাজ করছিল নাসিমউদ্দিন।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে চরম দুর্যোগ, প্রবল কালবৈশাখীর তাণ্ডব সঙ্গী শিলাবৃষ্টি, জেলায়-জেলায়
advertisement
রবিবার রাতে তিনতলায় ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। আর তখনই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেই নির্মীয়মান বহুতল। খবর পেতেই কলকাতায় ছুটে যায় পরিবারের লোকেরা। ভেঙে পড়া বহুতলের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার হয় নাসিমউদ্দিনের মৃতদেহ।
মঙ্গলবার নাসিম উদ্দিনের দেহ বাড়ি নিয়ে আসা হলে শেষবার দেখার জন্য ভিড় জমান আত্মীয় পরিজন প্রতিবেশীরা। মৃতের বাবা আঞ্জিল সেখ বলেন, আমার ছেলে নাসিমউদ্দিন যেখানে কাজ করছিল সেই নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ার খবর পেতেই আমরা কলকাতায় ছুটে যায়।
সেখানেই ধ্বংসাবশেষ থেকে পুলিশ আমার ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে। আমার ছেলের ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে। আমাদের একমাত্র সম্বল চলে গেল। মৃতের স্ত্রী জেসমিনা খাতুন বলেন, ইফতারের পর আমার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। ঈদের আগেই বাড়ি আসবে বলেছিল। ফোনে বলেছিল একটু ঘুমাবো। কিন্তু তারপর আর ফোনে পাইনি। আমার ছেলে মেয়ের ভবিষ্যত কী হবে!
আরও পড়ুন- মানভূম ও সাঁওতালি খাওয়ারের স্বাদ নিতে চান? চলে আসুন এই জায়গায়!
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, গোটা কলকাতায় গজিয়ে উঠছে বহুতল। অবৈধ নির্মান আর জমিলুঠ শাসকদলের নেতাদের ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলকাতার গার্ডেনরিচের ঘটনায় ১০জনের মৃত্যু হয়েছে। আমি চাই এই ঘটনার জন্য দায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেপ্তার করা হোক।