এ দিন সকালেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফুসফুসের সিটি স্ক্যান করা হয়৷ সেই রিপোর্টেই দেখা যায়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হতে শুরু করেছে৷ বাইল্যাটারাল নিউমোনিয়ার সংক্রমণ কমাতে যে বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছিল, তাও কাজ করেছে বলে বুঝতে পারেন চিকিৎসকরা৷ যদিও সিটি স্ক্যান রিপোর্টে দেখা যায়, এখনও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ফুসফুসের নীচের দিকের অংশে সংক্রমণ রয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বুদ্ধদেব ভটাচার্যকে যাঁরা মহাপুরুষ সাজাচ্ছেন…,’ কুণালের বিতর্কিত মন্তব্যে নিন্দার ঝড়
এর পাশাপাশি সি রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন পরীক্ষার রিপোর্টও অনেকটাই ভাল আসে৷ আগের বার পরীক্ষায় যেখানে এই মাত্রা সাড়ে তিনশোয় পৌঁছে গিয়েছিল, আজ তা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে৷ স্বাভাবিকের কাছাকাছি এসেছে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও৷
এই রিপোর্টগুলি সন্তোষজনক আসার পরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে একশো শতাংশ ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনার সিদ্ধান্ত নেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা৷ তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে অত্যন্ত ধীর গতিতে এই প্রক্রিয়া চালানো হবে৷ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম সদস্য চিকিৎসক আশিস পাত্রও জানিয়েছেন, আগের তুলনায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে৷
এ দিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে যান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা৷ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মহম্মদ সেলিমও জানান, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী৷