হাসপাতাল সূত্রে খবর, তন্দ্রাচ্ছন্ন রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। নল দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছেন তিনি। রাত থেকে ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন তিনি। রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন স্থিতিশীল। বুকের সিটি স্ক্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাঁর।
তাঁর চিকিৎসায় ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিআরপি ৩১৮। সেটাই চিন্তার বিষয়। এছাড়াও যেহেতু তাঁর ডায়াবেটিস আছে, সঙ্গে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স তাই অ্যান্টি বায়োটিক পুরো মাত্রায় দেওয়া যাচ্ছে না! কারণ হাই ডোজ অ্যান্টিবায়োটিক দিলে কিডনির উপর প্রভাব পড়তে পারে। পাশাপশি যেহেতু সিওপিডি আছে, তাতে ভেন্টিলেশনে তাঁর লাং-এর টিসু ড্যামেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতভর নজরে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মূল সমস্যা কী? এতটা চিন্তারই বা বিষয় কেন?
শনিবার সারা রাত কড়া পর্যবেক্ষণে ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের রক্তচাপ ও অক্সিজেনের মাত্রা মোটামুটি ঠিকই ছিল। মূত্রত্যাগের পরিমাণও স্বাভাবিক ছিল। তবে রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশি ছিল। ক্রিয়েটিনের মাত্রাও সামান্য বেশি। তবে এখনও কাটেনি সংকট।
আরও পড়ুন: মানব পাচারের যোগসূত্র খুঁজতে বিশেষ দল গঠন করেছে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী
শনিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কিছু খাবার দেওয়া হয়নি। তবে দুপুরে বাড়িতে লাঞ্চের পরই সংকটজনক হয়ে পড়ে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি। হু হু করে নেমে যায় রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। কিন্তু তারপর থেকেও চিকিৎসায় তাঁর পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।