নিজের গোটা রাজনৈতিক জীবন এবং মন্ত্রিত্বে থাকাকালীন সব সময় এই গাড়িতেই চড়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আর বোধহয় এই গাড়ির চাকা গড়াবে না কোনও দিন। সেই গাড়ির চালক সমর বিশ্বাসের মুখে কথা হারিয়েছে। মন থেকে যেন কিছু বলতেও চাইছেন না তিনি। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, হাত জোর করে চলে যাচ্ছেন। বলছেন, গলা ধরে আসছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অসাধারণ এক পোর্টফোলিও হয়েও সারাজীবন সাধারণ থাকলেন বুদ্ধ-জায়া মীরা…
নিজেকে কিছুটা সামনে বুদ্ধবাবুর গাড়িচালক সমর বিশ্বাস বললেন, ‘বুদ্ধবাবু সকাল ১০:০১-এ বার হব বললে তখনই বেরোতেন। কোনও দিন অন্যথা হয়নি। অনেক স্মৃতি এখন আর বলব না।’ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গাড়ির আরেক চালক ওসমানও এদিন পুরনো কথায় ডুবে রয়েছেন। একবার বুদ্ধদেববাবু রিজাইন করলে এই ওসমানও রিজাইন করেন৷ বলেছিলেন, ‘বুদ্ধবাবু না থাকলে, আমিও থাকব না’। জানান তাঁর ছেলে।
আরও পড়ুন: আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হলে প্রথম কোন লক্ষণে বুঝবেন? বড় ক্ষতির আগে অবশ্য়ই জানুন
রাজনৈতিক জীবনে সমাবেশ থেকে যে কোনও অনুষ্ঠানে এই সাদা অ্যাম্বাসাডর নিয়েই যেতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শেষবার যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সেই সময়ও তাঁর সঙ্গী ছিল সাদা অ্যাম্বাসাডর। বুদ্ধবাবু চলে গেলেন চিরকালের মতো। তবে তাঁর সঙ্গী থেকে গেল ‘অচল’ হয়ে।
অর্ণব হাজরা