পানিহাটি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর সিপিআইএম-এর সুদীপ রায়ের বাড়িতে আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন ইরাদেবী। এরপর থাকতে চান ভাড়া বাড়িতে। নিজের চাকরি জীবনের সঞ্চয় থেকেই বাঁচতে চান নিজের শর্তে জীবন। কিন্তু পেনশনের সমস্যা কি আর মিটবে না ইরাদেবীর? লুম্বিনী থেকে ফিরে খড়দহে বসেই ইরাদেবীর মুখে উঠে আসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। রীতিমতো চমক লাগিয়ে তিনি বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক জনকে আমার কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাঁরা সমস্ত তথ্য নিয়েছেন আমার থেকে। আর জানিয়েছেন, আমার পেনশনের সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে দেবেন।'
advertisement
এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন অনেক বড় মাপের নেতা, তিনি যখন বলছেন, তখন আমি নিশ্চয় পেনশন পাব।' কয়েকদিন আগেও ছেঁড়া পোশাকে ডানলপের পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়াতেন ইরাদেবী। নিজেই দাবি করেছেন, স্বাভাবিক জীবনেই ফিরতে চান প্রাক্তন শিক্ষিকা। কিন্তু কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চান না তিনি। ফিরতে চান না সল্টলেকের বাড়িতেও। অপরদিকে, ইরাদেবীর বর্তমান আচরণ অনেকটাই স্বাভাবিক বলে করেছেন সিপিআইএম নেতা সুদীপ রায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে ইরাদেবীর নিজস্ব কথাবার্তাও একেবারে সাবলীল এবং যুক্তিসঙ্গত।
আরও পড়ুন: আজ থেকে নতুন ঠিকানায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকা ইরাদেবী, পথের জীবন রইল পথে পড়ে...
শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও উঠে এসেছে ইরাদেবীর মুখে। জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য চালাচ্ছেন, তিনি সদাব্যস্ত, এমন একজন মানুষকে নিজের পেনশনের কথা বলে বিব্রত করতে চান না তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, সল্টেলেকের বাড়িটি তাঁরই নামে। কিন্তু কেন ফিরে যাবেন না সেখানে? ইরাদেবীর দাবি, 'সল্টলেকের বাড়িতে থাকলে আমার প্রাণ সংশয় হত। আমাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। আমার নিজের ইচ্ছেতে যদি ফের রাস্তায় থাকি, তবু কারও থেকে কোনও সাহায্য নেব না।' পরিশেষে তিনি জানান, এই জীবন একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দে বেছে নেওয়া, তাঁর জামাই বাবু রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee's Sister in Law) কিংবা তাঁর দিদি মীরা ভট্টাচার্যের প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই তাঁর।