বৃহস্পতিবার দুপুরে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকাহত। একজন বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে উনি রাজ্যের সেবা করে গিয়েছেন। উনার পরিবার এবং পরিজনদের প্রতি আমার সমবেদনা। ওম শান্তি।’’
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জীবনাবসানে শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাপ, দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আকস্মিক প্রয়াণে আমি মর্মাহত। বিগত কয়েক দশক ধরেই আমি তাঁকে চিনতাম এবং গত কয়েক বছরে তিনি যখন অসুস্থ ছিলেন তখন আমি বেশ কয়েকবার তাঁকে বাড়িতে দেখতে গিয়েছি। এই মুহূর্তে আমি অত্যন্ত দু:খিত বোধ করছি। এই শোকের সময়ে মীরাদি এবং সুচেতনের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”
জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে শোকবার্তায় লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে তাঁর পরিবার এবং সহকর্মীদের গভীর সমবেদনা জানাই। পাঁচ দশকেরও দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি মানুষের সেবা করেছেন।’’
প্রসঙ্গত, বিগত বেশকিছুদিন ধরেই অসু্স্থ ছিলেন বামশাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। গত ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। গত ৯ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এরপর ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে মারাত্মক রকমের সংক্রমণও ধরা পড়ে তাঁর। ফের আচমকা আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন। ক’দিন ধরে জ্বর ছিল। গতকাল রক্তপরীক্ষাও করা হয়, রিপোর্টে সেরকরম কিছু পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে স্যাচুরেশন খুব দ্রুত কমে যাওয়ায় মীরাদেবী তাঁর পারিবারিক চিকিৎসক সোমনাথ মাইতিকে জানান। সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।