হাসপাতাল থেকে সোমবার জানানো হয়েছে, ফুসফুসের সংক্রমণ পুরোপুরি নির্মূল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। আগামিকালের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কবে তাঁকে ছাড়া হবে বাড়ির জন্য। এক্ষুনি নির্দিষ্ট দিন না জানালেও খুব শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলেও হোমকেয়ারে রাখা হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। হোম কেয়ার প্রস্তুত করেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়ার দিনক্ষণ জানানো হবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে। যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সেই কারণেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ডিসচার্জ করে দেওয়া হলেও ফিজিওথেরাপি চলবে, রাইলস টিউবেই খাওয়ানো হবে। তবে এই সপ্তাহের মধ্যেই উনি খাবার পুরোপুরি গিলতে পারছেন কিনা সেটা দেখে রাইলস টিউব ছাড়া খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে চিকিৎসকদের তরফে। সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনছেন, কথাও বলছেন চিকিৎসকদের সঙ্গে।
advertisement
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পাঁচদিন পর আম খাওয়ার আবার করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তারপর ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে এগিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার সকাল থেকে মিউজিক থেরাপি করা হয়েছে তাঁর। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পছন্দের দেবব্রত বিশ্বাসের গলায় “শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে” গানটি শোনানো হয় তাঁকে। এতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রেসপন্স করেন ভাল। উনি নিজেও গুনগুন করেন এই গানের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: মাথায় কেবল ‘INDIA’, আর কাঁধে এবার বিরাট গুরুদায়িত্ব! পথে নামল এসএফআই
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালেও তাঁকে স্যুপ, ফ্রুট জুস খাওয়ানো হয়েছে রাইলস টিউব ছাড়াই। নিয়মিত ফিজিওথেরাপি, ফিজিক্যাল রিহ্যাবিলিটেশন করানো হচ্ছে। যদিও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীর এখন অনেকটাই দুর্বল। নিজেও খুব বেশি খেতে চাইছেন না। সংক্রমন যাতে না ছড়ায়, তার জন্য কাউকেই তাঁর ঘরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: হাতের চ্যানেল খোলা হল, বাইপ্যাপ চলছে! কবে বাড়ি ফিরতে পারেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য?
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। ওই দলে রয়েছেন চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী (মেডিসিন), সৌতিক পাণ্ডা (ক্রিটিক্যাল কেয়ার), সুস্মিতা দেবনাথ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার), সরোজ মণ্ডল (হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ), অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায় (ইন্টারনাল মেডিসিন এবং পালমনোলজি), ধ্রুব ভট্টাচার্য (ইন্টারনাল মেডিসিন এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার), আশিস পাত্র (অ্যানাস্থেশিয়া), দীপনারায়ণ মুখোপাধ্যায় (ইনফেকশাস ডিজিজ স্পেশালিস্ট), সেমন্তী চক্রবর্তী (এন্ডোক্রিনোলজি), সোমনাথ মাইতি (জেনারেল মেডিসিন), সপ্তর্ষি বসু (ফিজিশিয়ান এবং সুপার), দীপনারায়ণ মুখোপাধ্যায় (ইনফেকশাস ডিজিড স্পেশালিস্ট) এবং সেমন্তী চক্রবর্তী (এন্ডোক্রিনোলজি)।
সাহ্নিক ঘোষ
