নওশাদ বলেন, “আমি গিয়েছিলাম বুদ্ধবাবুর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিতে। তবে তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি। কারণ তখন বুদ্ধবাবু ঘুমোচ্ছিলেন। মীরা দেবীর কাছেই তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছি। এখন অনেকটাই ভাল আছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর ভেবেছিলাম একদিন যাব। তাই গিয়েছিলাম। উনি সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন। এই প্রার্থনা করি।”
advertisement
ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ২৯ জুলাই আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে৷ প্রথমে তাঁর অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক হওয়ায় ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল। তখন নিয়মিত দেখতে যেতেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। পরে ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সারা দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নিজে থেকেই বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। ১১ দিন হাসপাতালে থাকার পরে সেখান থেকে ছুটির অনুমতি দেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুনঃ কলার থোড় রক্ষা করে মারণ ‘এই’ রোগগুলি থেকে, খাওয়ার পদ্ধতিতেই লুকিয়ে রহস্য, আপনার জানা আছে?
কিন্ত বাড়িতে ফেরার পরেও তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজরদারি করার ব্যবস্থা করেন চিকিৎসকরা। নিয়মিত খোঁজ খবর নিতে আসেন দলীয় নেতৃত্ব। মঙ্গলবার এসেছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। এ দিন বেলা দু’টো নাগাদ পাম এভিনিউয়ের বাড়িয়ে যান ভাঙড়ের বিধায়ক। এরপর বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই ছিলেন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর ইচ্ছা ছিল আইএসএফ চেয়ারম্যানের। কিন্তু বুদ্ধবাবু ঘুমিয়েছিলেন, তাই মীরা ভট্টাচার্যের কাছ থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের সব খবর নেন নওসাদ।
নওশাদ জানান, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আজকের দুনিয়াতে বিরল। আমি রাজনীতিতে এসেছি খুব বেশিদিন হয়নি। তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কাজ, তাঁর বক্তব্য দুর থেকে দেখেছি, শুনেছি। তাঁর লেখা বই পড়েছি। রাজনীতিতে আসা যে কোনও মানুষেরই মনে হবে এরকম একজন মানুষের সাক্ষাৎ পাওয়া। পরে কোনও একদিন নিশ্চয়ই তাঁর সঙ্গে দেখা হবে।”
UJJAL ROY