এদিন নিউজ ১৮ বাংলা ডিজিটালকে তিনি জানান, ‘গত চার বারের থেকে বুদ্ধবাবুর এবারে সুস্থ হওয়ার লড়াইটা অনেক কঠিন ছিল। উনি চিকিৎসায় সাড়াও দিয়েছেন ভাল। আমাদের মেডিক্যাল টিম, ফিজিওথেরাপিস্ট, নার্সিং টিম সবাই মিলে খুব পরিশ্রম করেন এবং ওঁকে দেখাশোনা করেন। শেষ ১১-১২ দিন আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করে নিউমোনিয়াটা সারিয়ে সুস্থ ভাবে বুদ্ধবাবুকে বাড়ি ফেরাতে পেরেছি।’
advertisement
আরও পড়ুন: এত বড় নিয়োগ দুর্নীতির এমন ঢিলেঢালা তদন্ত কেন? CID-র কাজে ক্ষুদ্ধ কলকাতা হাইকোর্ট
পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালের একটি দল সর্বক্ষণ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন। নার্সিং টিম, ফিজিওথেরাপিস্ট, স্পিচ থেরাপি করানো হবে তাঁর। প্রতিদিন চিকিৎসকেরাও যাবেন সেখানে। শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়লেও মানসিক ভাবে এখনও ভাঙেননি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসুর কথায়, ‘অনেকদিন ধরে উনি সিওপিডি-তে ভুগছেন। দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী, ফলে অনেক রোগ ওঁকে চেপে ধরেছে। বয়সের সঙ্গেও এই রোগগুলি বাড়তে থাকে। এই রোগ যে কোনও মানুষকেই দমিয়ে দেয়। কিন্তু উনি একজন ফাইটার। ওঁর ব্যক্তিত্বই আলাদা। এখান থেকে উনিই উঠে দাঁড়াতে পারেন। তবে এবারের লড়াইটা খুবই কঠিন ছিল।’
আরও পড়ুন: ‘কারও উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়নি’, স্কুলে বাংলা বাধ্যতামূলক বিতর্ক মেটালেন মুখ্যমন্ত্রী
হাসপাতালে থাকাকালীন চিকিৎসকেরা সব সময়ই চেয়েছিলেন বুদ্ধবাবুকে সক্রিয় করে তুলতে। সপ্তর্ষি বসু বলেন, ‘সে কারণে আম খাওয়ার ইচ্ছে, গান শোনা, কবিতা শোনা এমনকী বুদ্ধবাবু নিজেও প্রিয় গানে গলা মিলিয়েছেন। কবিতা বলেছেন। হাসপাতালে থাকার শেষ কয়েকদিনে বেশ ভাল মুডে চলে এসেছিলেন বুদ্ধবাবু। তবে পরবর্তীতে আর যাতে সিওপিডি বাড়াবাড়ি না হয়, সেদিকেই এখন খেয়াল রাখতে হবে। উনি বিগত ৫-৬ বছর হল সিগারেটও ছেড়ে দিয়েছেন। তবে এই রোগের অনেক জটিলতা রয়েছে। তাই এখন থেকে আরও অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।’ বুদ্ধদেববাবুর চিকিৎসায় খরচ হয়েছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। সূত্রের খবর, চিকিৎসার খরচ নেননি চিকিৎসকেরা। ৫ লাখ টাকা সিপিএম রাজ্য কমিটি চেকের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই হাসপাতালকে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।