সল্টলেকে পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে আছে পেঁচাটি।তৃতীয় বার ক্ষমতার আসার পরপরই দলের সদর দফতর নতুনভাবে গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে তাঁর নির্দেশ মতোই শুরু হয়েছে বাইপাসের ধারের তৃণমূল ভবন সংস্কারের কাজ। গত মাস থেকে শুরু হয়েছে ভবনের জিনিসপত্র সরানোর কাজ। এরই মধ্যে তৃণমূল ভবন থেকে উদ্ধার হয় একটি লক্ষ্মী পেঁচা। ভবনের ছাদ লাগোয়া চিলে কোঠায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছে লক্ষ্মী পেঁচাটিকে। তৃণমূল ভবন থেকে জিনিসপত্র সরাবার কাজ চলছে। সেই সময়েই এই পেঁচাটি নজরে আসে দফতরের কর্মীদের। এরপর বন দফতরের কর্মীদের খবর দেন ভবনের কর্মীরা। বন দফতরের কর্মীরা এসে দেখেন, ডানায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে পেঁচাটি । ব্রাউন আউল বলে পরিচিত এই লক্ষ্মী পেঁচা।
advertisement
বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, ডানায় আঘাত লাগার কারণ মাঞ্জা সুতো। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, 'এরা নিশাচর। দিনের বেলায় এদের দেখতে পাবেন না। সাধারণত কোনও বাড়িতে এরা থাকে।" প্রসঙ্গত, বাইপাসের ধারে তৃণমূল ভবনের পাশেই এক বহুতল বাড়িতে আপাতত চলবে মেক শিফট তৃণমূল ভবন। ইতিমধ্যেই একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভবন থেকে জিনিসপত্র নয়া বাড়িতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। আপাতত সেই বাড়িতে চলছে নয়া অস্থায়ী অফিস বানানোর কাজ।
বাইপাসের ধারের বর্তমান ভবন তৈরি হয় ২০০২ সালে। তখন সাংসদ ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইপাসের ধারের এই ভবন নিয়ে অনেক স্মৃতি জোড়া ফুল শিবিরের নেতাদের মধ্যে। তবে দল বাড়ছে, সংগঠন মজবুত হচ্ছে, ফলে দরকার ছিল নয়া ভবনের। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি মাসে সাংগঠনিক বৈঠক করতে এসে ভবন সংস্কারের কথা জানিয়েছিলেন। এমনকি সাংবাদিক সম্মেলনে বসার জায়গা অনেক কম, এমন কথাও শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। খুব শীঘ্রই যে নয়া ভবন তৈরি হবে, সেই ইঙ্গিত মিলেছিল তার কথায়। অবশেষে সেই ভবন সংস্কার বা নয়া ভবন বানানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সেই কাজের শুরুতেই খোঁজ মিলল লক্ষ্মী পেঁচার।