হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগীর পরিজনদের বলা হচ্ছে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে কখনও অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না। প্রয়োজনে সুপারের অফিস, রোগী সহায়তা কেন্দ্র বা পুলিশ ক্যাম্পে যোগাযোগ করুন। হাসপাতালে মৃত্যুর শংসা পত্র পাইয়ে দিতে মোটা টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের মোহনপুরের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁর ভাই ২০২০ সালে একটি দুর্ঘটনায় মারা যান। রিপোর্টসহ হাসপাতালে জন্ম মৃত্যু বিভাগে শংসাপত্রের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি সেই শংসাপত্র পেতে একজনকে মোটা টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি। তিনি সেই শংসাপত্র হাতে না পেয়ে অশান্তি শুরু হলে বিষয়টি সামনে আসে।
advertisement
শুধু এটাই নয়,দিন কয়েক আগেই রক্তদাতা এনে দেওয়ার নাম করে এক রোগীর পরিজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ ক্যাম্পের নজরে আসায় ফের তাঁকে রক্তের জন্য আবেদন করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। রোগীর আত্নীয় পরিজনদের অভিযোগ, কিছুদিন বন্ধ থাকলেও নতুন করে দালালদের উৎপাত শুরু হয়েছে হাসপাতালে।
আরও পড়ুন, একদিকে জয়ের রোশনাই, অন্যদিকে পরাজয়ের অন্ধকার, বিজেপির দুই শিবিরে দুই ভিন্ন ছবি
হাসপাতাল থেকে রোগী ছাড়িয়ে বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন হাসপাতালে তৎপর থাকে বলেও অভিযোগ। হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা হবে না বলে রোগী ও রোগীর পরিবারকে ভয় পাইয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা রোগীকে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়ে মোটা টাকা দালালি বাবদ পায়।
আরও পড়ুন, 'আমার খারাপ লেগেছে!' এসএসকেএম-এ গিয়ে কী ইঙ্গিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী
এ ব্যাপারে হাসপাতাল সুপার তাপস ঘোষ বলেন, অভিযোগ এলেই আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তাছাড়াও দালাল রুখতে হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গায় বোর্ড লাগানো হয়েছে। মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। পুলিশ কর্মীরাও নজর রাখছেন। মানুষকেও সচেতন হতে বলা হচ্ছে।