ব্রাত্য বসু বলেছেন, 'অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনা। আমি মর্মাহত, দুঃখিত। এই ঘটনায় তিন জনের অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করা হল। ২০২১-এর জানুয়ারি সালে ওঁর প্রভিনশিয়াল পেনশন চালু করেছিলাম। ওনার নামে একটা ভিজিলেন্স চলছিল। সেই জন্য দেরি হয়েছিল।' পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে তিনি শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন। তবে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, শিক্ষারত্ন পাওয়া শিক্ষকও অবসরকালীন ভাতা পেতেন না ঠিক মতো।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষারত্ন’ পেতেন না পেনশন, অবসাদে আত্মঘাতী হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ড. সুনীল কুমার দাস কলকাতার হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর হাতে শিক্ষারত্ন পুরস্কার তুলে দেন। এমনকী সরকারি ও বেসরকারি তরফে শিক্ষক হিসাবে আরও বহু সম্মান তিনি পেয়েছেন। এর পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি অবসর নেন।
আরও পড়ুন: অনুব্রত-আত্মীয়দের ১৭ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত! গরুপাচারের টাকা? প্রবল চাপে কেষ্ট
অভিযোগ, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে হওয়া সত্ত্বেও অবসরের পর লাগাতার ৩ বছর ধরে বিকাশ ভবন ও নিজের স্কুলে যাতায়াত করলেও মেলেনি পেনশন। এর পরই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ও আত্মঘাতী হন। বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে পেনশন না পাওয়ায় রাজ্যসরকারের তরফে শিক্ষারত্ন পাওয়া শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।