পাশাপাশি, শিক্ষামন্ত্রী এক হাত নিয়েছেন সিপিএম-এ রাজ্য নেতৃত্বকেও ৷ তাঁর কথায়, ‘‘ ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি ত্রিপুরায় কী করেছে, সকলে দেখেছেন ৷ লেনিনের মূর্তি ভাঙা হয়েছে ৷ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পার্টি অফিস ৷ কিন্তু বাংলা থেকে কোনও বাম নেতা গত তিন বছরে সেখানে যাননি ৷ এখন আমরা গিয়েছি বলে তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে ! ’’
advertisement
ব্রাত্যর কটাক্ষ, বাংলায় তো সিপিএম এখন শূন্য৷ টেলিভিশনে প্রতিক্রিয়া জানানো বা বক্তব্য রাখা ছাড়া নেতাদের কোনও কাজ নেই ৷ তাহলে তো ত্রিপুরায় যেতে পারেন নেতারা ৷
কিন্তু ত্রিপুরার পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে কি তৃণমূল কি সিপিএম-এর সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে? সে প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে ব্রাত্যর দাবি, তাঁরা ত্রিপুরায় সিপিএম নেতাদের কাছে যাবেন না ৷ বরং যাবেন বামকর্মীদের কাছে ৷ আহ্বান জানাবেন, তৃণমূলে আসার ৷
বাংলা জয়ের পর তৃণূলের সাংগঠনিক স্তরে বড় পরিবর্তন হতে চলেছে, সে জল্পনা চলছলিই ৷ সোমবার তা কার্যকর হল ৷ এক নেতা এক পদ নীতিতেই হাঁটল তৃণমূল। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,সৌমেন মহাপাত্র, মলয় ঘটক, স্বপন দেবনাথ, পুলক রায় এবং অরূপ রায়--এই ছ’জন মন্ত্রীকে সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরানো হল ৷
এমনকি, সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে এবং যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে দিতে বহু জেলার সভাপতিও পরিবর্তন করে দেওয়া হল। যাঁর ফলে সাংগঠনিক ক্ষমতা থেকে বাদ পড়লেন মৌসম বেনজির নুর, মহুয়া মৈত্ররা। কোনও সাংগঠনিক দায়িত্বে নেই ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস-ও ।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ত্রিপুরার পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে তথা সে রাজ্যে দলের সাংগঠনিক বিস্তারে উল্লেখযোগ্য কারিগরের ভূমিকা নিচ্ছেন ব্রাত্য বসু ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, ‘‘ এই রদবদল প্রত্যাশিতই ছিল ৷ এটা আমাদের মানতে হবে ৷ যোগ্য ব্যক্তি যোগ্য পদ পাবেন ৷’’