ব্রেন ডেথ হওয়া এই সেনা জওয়ানের স্ত্রী এবং এক দশ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। চূড়ান্ত শোকের সময়ও মন শক্ত করে অঙ্গদানে রাজি হয় স্ত্রী। পরিবারের সম্মতি মেলার পরই রোটো (রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অরগানাইজেশন)র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় কম্যান্ড হসপিটালের তরফে। এই রোটোই অঙ্গদানের সব কিছু পরিচালনা করে। আলিপুর কমানডো হাসপাতালে ভর্তি থাকা ২৫ বছর বয়সী এক সেনার শরীরে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়। সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত হয় এসএসকেএম হাসপাতালে আর একটি প্রতিস্থাপিত কড়া হয় নদীয়ার ৪৩ বছর বয়সী এক রোগিণীর দেহে। হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপিত হবে হাওড়ার বাসিন্দা ৫২ বছরের এক ব্যক্তির শরীরে। ইএম বাইপাসের পাশে মেডিকা হাসপাতালে লিভার পাবেন ৬১ বছরের নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা এক রোগিনী।
advertisement
বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়। ব্রেন ডেথ হওয়া হওয়া সেনার শরীর থেকে অঙ্গ সংগ্রহের কাজ শুরু করেন প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞরা। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সাহায্যে গ্রীন করিডোর করে একটি কিডনি ও হার্ট এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। লিভার নিয়ে যাওয়া হয় মেডিকা হাসপাতালে। রাতের মধ্যেই সমস্ত অঙ্গ সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রতিস্থাপনের পর প্রত্যেকেই স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও মৃত সেনার দুটি চোখ এবং চামড়াও এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে ইতিহাসে এই প্রথম মরণোত্তর অঙ্গদান করা হল।
ABHIJIT CHANDA
