আরও পড়ুন: বাড়িটা ঠিক আছে তো এখনও? স্কুল ড্রেস পরে বাড়ি দেখতে এল ছোট্ট অংশুমান
সোনার কারিগর তপন জানা বলেন, "প্রশাসনের তরফ থেকে যখন বাড়ি ছেড়ে আসার ঘোষণা করা হচ্ছিল তখন জীবন বাঁচাতে কোনও কিছু না ভেবেই বেড়িয়ে পড়তে হয়েছিল। পরে একবার ভিতরে ঢোকার সুযোগ হলে কিছু সোনা বের করে আনা গিয়েছে। কিন্তু পুরোটা বের করা যায়নি। ছোট ছোট গয়নার অংশ সব বের করে আনা কার্যত অসম্ভব। প্রথমে আমরা জীবন বাঁচাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে মনে হয়েছে। সোনাগুলো পুরোটাই মালিককে বুঝিয়ে দিতে হবে। কারণ মালিকও দোকান থেকে সোনা ও কাজ নিয়ে আসে। তাঁকেও দোকানে সোনা বুঝিয়ে দিতে হবে। এখন সেই সোনা না পেলে আমরা কী করে দেবো সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা সামান্য কারিগর লক্ষ লক্ষ টাকার সোনা এনে কাজ করি। সেই টাকা কীভাবে যোগাড় করব?"
advertisement
আরও পড়ুন: পাতাল আতঙ্কে ঘরছাড়া শতাধিক! ভরসা দিতে বউবাজারে 'দুয়ারে কাউন্সিলর'
সোনাপট্টির আরেক কারিগর লক্ষ্মণ নায়েক বলেন, "আমাদের ব্যবসা পুরো বিশ্বাসের ওপর চলে। সোনা ফেরত দিতে না পারলে সেই বিশ্বাসযোগ্যতায় আঘাত লাগবে। কাজ পাওয়া কঠিন হবে। তাই জমি বাড়ি বিক্রি করে হলেও সোনা ঠিকই বুঝিয়ে দিতে হবে।" সোনা ব্যবসায়ী জিতেন পাল বলেন, "অনেক সোনা ওই বাড়িগুলোতে পড়ে আছে। আগেরবারও যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিলো তখনও বেশকিছু সোনা ধংসস্তুপে মিশে গিয়েছিলো। অনেক ক্ষতি হয়েছিল কারিগরদের। এরপর এল লকডাউন। সেইসব ধাক্কা সামলে আবার যখন এই শিল্প উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তখন আবার ধাক্কা লাগল। সোনা বুঝিয়ে দিতেই হবে। কেউ কোনও কথা শুনবে না। তাই নতুন করে চাপ সৃষ্টি হল সোনার কারিগরদের।
তবে এলাকার মানুষদের সব রকমের সাহায্য করার আস্বাস দিয়েছেন এলাকার কাউন্সিলর। অন্যদিকে, শুক্রবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। এলাকার বাসিন্দা ও সোনা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।
UJJAL ROY