মেঝের উপর ফাটল এতটাই চওড়া যে পা দিলেই পড়ে যাবার ভয় বাসিন্দাদের। ছাদের মেঝেতেও চওড়া ফাটল দেখে অনেকেই মনে করছেন মাথার উপর হয়তো ভেঙে পড়ল ছাদটা। রাত থেকে এই দৃশ্য দেখে অনেকেরই মনে পড়েছে ২০১৯ সালের দিনগুলো। রাতে বাড়ির ফাটল দেখে বাড়ি থেকে একটি মাত্র পোশাকেই ঘর ছাড়া হয় প্রায় ১০০ বেশির মানুষ। রাত কেটে সকাল হতেই খবর পৌঁছয় পুলিশ ও মেট্রোরেলের কর্তাদের কাছে। তৎক্ষণাৎ মদন দত্ত লেনে পৌঁছে দশটি বাড়ির বাসিন্দাদের জানানে হয় ঘর ছাড়তে হবে দ্রুত, না হলে ভেঙে পড়বে।
advertisement
আরও পড়ুন : পর্যটকদের জন্য সুখবর! সাজছে ভালকি মাচানের জঙ্গল! ট্যুরিস্ট টানতে তৈরি হচ্ছে ট্রি-হাউস
দুর্গা পিতুরী লেন বা স্যাঁকড়া পাড়া লেনের বাসিন্দাদের মতোই শুক্রবার সকালে ঘর ছাড়া হয় প্রায় ২০০ জন বাসিন্দা। ফিয়ার্স লেন, ধর্মতলা চত্বর মিলিয়ে মোট ৫ টি হোটেল ঠাঁই হয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে জানান, এইভাবে প্রতিবার ফাটল হলে বাস করা যথেষ্ট সমস্যার। আগেরবার ঘর ছাড়তেও ক্ষতিপূরণ বা বাড়ি মোরামতির টাকা পাওয়া যায়নি, এইবার মাত্র পনেরো দিন সময় দেওয়া হল তার মধ্যেই দিতে হবে ক্ষতিপূরণ।
মন্ত্রী ও এলাকার বাসিন্দা তাপস রায় এলাকা পরিদর্শন করে জানান, বারবার একই ঘটনা কী করে হয়? এটা তো মস্করার জায়গায় চলে যাচ্ছে। যদিও ভিটে ছাড়া বাসিন্দাদের বক্তব্য, হোটেল কারও ঠিকানা হতে পারে? ওই বাড়িটা কবে কী ভাবে ফিরে পাব? অনেকেই বলছেন জামা কাপড় কিছু নেই কী করব! খাবার জুটলেও পড়াশোনার বইপত্রও নেবার সুযোগ পায়নি অনেক বাসিন্দা। সবমিলিয়ে আচমকাই অন্ধকার আর অনিশ্চিত সময় নেমে এসেছে এই এলাকার বাসিন্দাদের জীবনে।