কথা হচ্ছিল শীল বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে। জয়ন্ত শীল জানাচ্ছেন, "গত তিন বছর ধরে ঘর হারানোর যন্ত্রণা পাচ্ছি।" শীল বাড়ির মেয়ের বিয়ে হয়েছে, অন্য বাড়ি থেকে। শীল বাড়ির অন্দরে ছিল নানা জিনস। সবই এখন ইতিহাস। তিন বছর পরে, বউবাজারের অলিতে গলিতে এখন একটাই আলোচনা কবে, আবার স্বাভাবিক হবে বউবাজার। অন্য দিকে বউবাজার নিয়ে একটাই মাথাব্যথা এখন। কখন, কী ভাবে শেষ করা হবে বউবাজারের কাজ।
advertisement
২০১৯ সালের ৩১ অগাস্ট ভেঙে পড়ে বউবাজারে একের পর এক বাড়ি। দূর্গা পিতুরী লেন, স্যাকরা পাড়া লেন-সহ বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল ক্রমশ চওড়া হয়। তারপরে তাসের ঘরের মতো একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ে। যার জেরে বউবাজারের দুর্গা পিতুরী লেনে আটকে যায় টিবিএম চান্ডি। অপর টানেল বোরিং মেশিন উর্বি যদিও মাটির নীচে কাজ শুরু করে দেয়। সে ধীরে ধীরে কাজ শেষ করে শিয়ালদহ স্টেশনের দিকে। শিয়ালদহ পৌছে গেলে আবার মুখ ঘুরিয়ে উর্বিকে নিয়ে আসা হয়েছিল চান্ডির পথে। সেই কাজও শেষ করেছে। তারপর তাকেও তুলে ফেলা হয়। সেই টানেল বোরিং মেশিন তুলে ফেলার পরে কাজ শুরুও করে দিয়েছিল কেএমআরসিএল। আবার সেখানেই ঘটে বিপত্তি।
এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ অবধি মেট্রো প্রকল্প নির্মাণকারী সংস্থা দুর্গা পিতুরী লেনে তৈরি করা হয় একটি বিশাল চৌবাচ্চা। যার মধ্যে থেকে তুলে আনা হয় চান্ডি'কে।তার পরেই কাজ করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। ফের বাড়িতে ফাটল ধরে। তিন বছর আগে ৩১ অগাস্ট ভেঙে পড়ে বউবাজারের একের পর এক বাড়ি। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ অবধি মেট্রো কাজ চলার সময়ে ধস নামে মাটির নিচে। যার জেরে মেট্রোর কাজ ব্যাহত হয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে সেই কাজ শুরু করা হয়েছিল। বউবাজারে টানেল ঢাকার এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বউবাজারে ফের শুরু হবে বাড়ি বানানোর কাজ।