গত বছর মেট্রো রেলের টানেল খুঁড়তে গিয়ে যে ধস নেমেছিল, তাতে বিপর্যয় নেমেছিল দুর্গা পিতুরি লেনে। সেই ধাক্কা কোনও রকমে সামাল দিতে না দিতেই করোনা বিপর্যয়ে লকডাউন। তার পর থেকে ছন্নছাড়া অবস্থা বাংলার স্বর্ণ শিল্পের। দুর্গা পিতুরি লেনে সোনার কারিগর বুদ্ধদেব ধরের কথায়, "কাজ প্রায় নেই বললেই চলে। যা টুকটাক কাজ আছে, তাতে সংসার চালানোই মুশকিল।"
advertisement
আর এক কারিগর কাশীনাথ ভট্ট বলেন, "এই সময় অন্য বছর এত কাজ থাকে যে, কারিগরেরা খাওয়া-দাওয়ার সময় পান না। এ বছর সেই তুলনায় কার্যত কাজ নেই বললেই চলে।"
অন্য বছর ধনতেরাসের এই সময়ে নিঃশ্বাস ফেলার সময় পান না স্বর্ণশিল্পীরা। সোনার দোকানের বায়না তো আছেই, তার উপরে অনেক ব্যক্তিও সরাসরি কারিগরদের কাছে এসে বিভিন্ন জিনিস তৈরির অর্ডার দেন। এ বছর সে সব কিছুই নেই। স্বর্ণ কারিগর দয়ানন্দ মাইতি বলেন, "এ বছর আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। সব কারিগরেরা কাজও পাচ্ছেন না। অনেকেই কাজহীন অবস্থায় স্রেফ বসে আছেন। আবার অনেকে কাজ না পেয়ে অন্য কাজ করে সংসার চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।"
তার উপরে আকাশছোঁয়া দামের জেরে যা-ও বা দু'এক জন কাজ নিয়ে আশতেন, তাঁরাও আসছেন না। অনেকে আবার সোনার বদলে রূপোর গয়না বানাচ্ছেন। এই অবস্থায় লক্ষ্মী-গণেশের কাছে একটাই আর্তি, শেষ হোক করোনা। আবার বউবাজারের এই দুর্গা পিতুরি লেনে ফিরুক সোনালি দিন।