TRENDING:

দীপাবলিতেও নিস্প্রভ, পর পর বিপর্যয়ে ফিকে বউবাজারের সোনালি-শিল্প

Last Updated:

সংসার কী করে চালাবেন, তাই ভেবেই কুল পাচ্ছে না ছোট্ট গলিতে বসে বছরের পর বছর ধরে কাজ করে আসা হাজার চারেকেরও বেশি কারিগর।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: প্রথমে মেট্রোর কাজের জেরে প্রবল ধস নামিয়ে এনেছিল বিপর্যয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আগুন হয়েছে সোনার দাম। তার পরেই করোনা-আতঙ্ক। সব মিলিয়ে ভাল নেই বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন। অন্য বার যেখানে ধনতেরাসের আগে-পরে গমগম করে ব্যবসা। এ বার সেখানেই অন্ধকার। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, সংসার কী করে চালাবেন, তাই ভেবেই কুল পাচ্ছে না ছোট্ট গলিতে বসে বছরের পর বছর ধরে কাজ করে আসা হাজার চারেকেরও বেশি কারিগর।
advertisement

গত বছর মেট্রো রেলের টানেল খুঁড়তে গিয়ে যে ধস নেমেছিল, তাতে বিপর্যয় নেমেছিল দুর্গা পিতুরি লেনে। সেই ধাক্কা কোনও রকমে সামাল দিতে না দিতেই করোনা বিপর্যয়ে লকডাউন। তার পর থেকে ছন্নছাড়া অবস্থা বাংলার স্বর্ণ শিল্পের। দুর্গা পিতুরি লেনে সোনার কারিগর বুদ্ধদেব ধরের কথায়, "কাজ প্রায় নেই বললেই চলে। যা টুকটাক কাজ আছে, তাতে সংসার চালানোই মুশকিল।"

advertisement

আর এক কারিগর কাশীনাথ ভট্ট বলেন, "এই সময় অন্য বছর এত কাজ থাকে যে, কারিগরেরা খাওয়া-দাওয়ার সময় পান না। এ বছর সেই তুলনায় কার্যত কাজ নেই বললেই চলে।"

অন্য বছর ধনতেরাসের এই সময়ে নিঃশ্বাস ফেলার সময় পান না স্বর্ণশিল্পীরা। সোনার দোকানের বায়না তো আছেই, তার উপরে অনেক ব্যক্তিও সরাসরি কারিগরদের কাছে এসে বিভিন্ন জিনিস তৈরির অর্ডার দেন। এ বছর সে সব কিছুই নেই। স্বর্ণ কারিগর দয়ানন্দ মাইতি বলেন, "এ বছর আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। সব কারিগরেরা কাজও পাচ্ছেন না। অনেকেই কাজহীন অবস্থায় স্রেফ বসে আছেন। আবার অনেকে কাজ না পেয়ে অন্য কাজ করে সংসার চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।"

advertisement

তার উপরে আকাশছোঁয়া দামের জেরে যা-ও বা দু'এক জন কাজ নিয়ে আশতেন, তাঁরাও আসছেন না। অনেকে আবার সোনার বদলে রূপোর গয়না বানাচ্ছেন। এই অবস্থায় লক্ষ্মী-গণেশের কাছে একটাই আর্তি, শেষ হোক করোনা। আবার বউবাজারের এই দুর্গা পিতুরি লেনে ফিরুক সোনালি দিন।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
দীপাবলিতেও নিস্প্রভ, পর পর বিপর্যয়ে ফিকে বউবাজারের সোনালি-শিল্প
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল