মুখ্যমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান এখানকার বাসিন্দারা। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা বলেন, উৎসবের দিনে তাঁদের পাড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর আসা এটাই তাঁদের কাছে সবচেয়ে বড় বড়দিনের উপহার। উৎসবের দিনে এখানকার নাগরিকদের পাশে থাকার বার্তাও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর ঘোষণা, আগামী বছর থেকেই পার্কস্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে তাঁর হাত ধরে বড়দিন উৎসবের সূচনা হওয়া ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালে যুক্ত করা হবে বো -ব্যারাককেও। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা শুনে উচ্ছ্বসিত নাগরিকরা ধন্যবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
advertisement
আরও পড়ুন - করোনায় আক্রান্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ! ভর্তি হাসপাতালে
মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বো- ব্যারাকে সফরসঙ্গী ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। পার্কস্ট্রিটের ক্রিসমাস কার্নিভালে যাতে বো- ব্যারাককেও আগামী বছর থেকেই অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে ব্যাপারে ফিরহাদ হাকিমকে জনসমক্ষে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পার্কস্ট্রিটের পাশাপাশি এখনও বড়দিনের উৎসবের আবহ রয়েছে বো ব্যারাকেেও আলোর মালায় সেজে রয়েছে গোটা মহল্লা। রাস্তার ওপর বিশাল ক্রিসমাস ট্রি থেকে শুরু করে হরেকরকম রঙিন কারুকার্য। অ্যাংলো পাড়ায় রয়েছে সবকিছুই। কলকাতার সাহেব পাড়ার পর সবচেয়ে বড় করে বড়দিনের উৎসব পালিত হয় এই অ্যাংলো পাড়ায়। তবে করোনা আবহে উৎসবের আনন্দ খানিকটা ফিকে হলেও নিজস্ব আভিজাত্যে আজও ঝলমলে বো- ব্যারাক।
আরও পড়ুন-লক্ষ্য যুব সমাজ, ত্রিপুরার ময়দানে খেলা শুরু তৃণমূলের
চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে বউবাজার থানার পিছনের গলি দিয়ে খানিক এগোলেই সেই আয়তকার চাতাল। লাল ইটের পাঁজর নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে। যার পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে দীর্ঘ ৮০ বছরের ইতিহাস। শোনা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলে আমেরিকান সৈনদের জন্যই এই ব্যারাকের পত্তন।কলকাতার বুকে এ এক অন্য কলকাতা। আয়তকার এই চাতাল ডিসুজা, ডিরোজিও, ক্রিস্টোফার অগাস্টিনের মহল্লা। এখানে ৩২টি পরিবারের বসবাস। ক্রিসমাস ট্রি, সান্তাক্লজ, রং-বেরঙের বেলুন আর আলোর রোশনাইয়ে সেজেছে মহল্লা। প্রায় আশি বছরের ক্ষয়িষ্ণু ইতিহাস বুকে নিয়ে আজও অমলিন বো-ব্যারাকের বড়দিন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় আগামী বছর থেকেই বড়দিনের উৎসব মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে পার্কস্ট্রিটের সাথে বো-ব্যারাকও। সেই বড়দিনের অপেক্ষারই এখন প্রহর গুনছে বো-ব্যারাক।
VENKATESWAR LAHIRI