আরও পড়ুন: অসম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের বিক্ষোভ প্রদর্শন
ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির কাছে ২২৩ বিধান সরণি। গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান। শুক্রবার দুপুর একটা নাগাদ এই দোকানেই জনপ্রিয় বহুজাতিক ই কমার্স সংস্থার প্যাকেটে মোড়া পার্সেল আসে। দোকানের কর্মীরা পার্সেলটি খুলতেই আগুনের ফুলকি বেরোতে শুরু করে। বের হয় ধোঁয়াও।
এতে কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুরো প্যাকেট খুলে তাদের তো চক্ষু চড়কগাছ। পার্সেলের মধ্যে তার দিয়ে যুক্ত সার্কিট বোর্ড.....ব্যাটারি.....সঙ্গে আবার ডিজিটাল ঘড়ি।
advertisement
আরও পড়ুন: অসমে বাঙালি হত্যাকাণ্ডে দায় অস্বীকার করল ULFA
এটা কি তা হলে পার্সেল বোমা? এই আতঙ্কে ছুটে পালাতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। খবর দেওয়া হয় জোড়াসাঁকো থানায়। সেখান থেকে খবর যায় লালবাজারে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। তারা গিয়ে পার্সেলটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: অসম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বাংলা জুড়ে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক তৃণমূলের
যে দোকানে পার্সেলটি এসেছে, তার মালিকের দাবি, দিওয়ালির সময় পরিচিত ব্যবসায়ীরা প্রতিবছরই উপহার পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেরকমই কোনও উপহার এসেছে ভেবেই তাঁর দোকানের কর্মীরা পার্সেলটি খোলেন। কিন্তু, খুলতেই ধোঁয়া। ব্যবসায়ীর দাবি, গুজরাতের সুরাটের গণপতি মেটালিক প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার তরফে পার্সেলটি পাঠানো হয়েছে বলে প্যাকেটের উপর লেখা। কিন্তু, এমন কোনও সংস্থার নামই তিনি শোনেননি। তা হলে কারা এমন পার্সেল পাঠালো? এটা কি সত্যিই পার্সেল বোমা? না কি নিছকই মজা করে কেউ এমন করেছে? সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।