রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৭ জন। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট বলছে, রাজ্যে নতুন করে কারোর শরীরে নিশ্চিত ভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মেলেনি। এছাড়াও নতুন করে সন্দেহজনক ১৪ জনের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। মোট সন্দেহজনক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১০৮ জন। নতুন করে এক জন সন্দেহজনক আক্রান্ত বুধবার মারা গিয়েছেন। মোট সন্দেহজনক ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়ে হল ১৮ জন। এখনও পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত হওয়ার পর মোট ৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
advertisement
গত ৩ সপ্তাহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে গোটা দেশে। মারণ ভাইরাস ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে রাজ্যগুলোতে সতর্কতা জারি হয়েছে। এই মুহূর্তে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসে (mucormycosis) মৃত্যুর হার ৫০%। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ৩১ হাজার ২১৬ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত তিন সপ্তাহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে ২ হাজার ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঠিক কী ধরনের সর্তকতা নেওয়া উচিত তাই নিয়ে রাজ্য সরকার একটি সাধারণ নির্দেশিকা জারি করেছে। বাসা বাঁধে এই ছত্রাক। স্বাস্থ্য দফতর বলছে, এই সংক্রমণ ঠেকাতে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। গ্লাভস পরে থাকা প্রয়োজন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত জরুরি। স্নানের সময় সাবান ব্যবহার করতে হবে। জুতো ট্রাউজার্স এবং ফুল হাতা জামা পরাই বাঞ্ছনীয়। এছাড়া বাড়িতে খোলা জায়গায় পচা ফল সবজি পাউরুটি ইত্যাদি রাখা চলবে না। ধুলোবালি রয়েছে এমন জায়গায় বাড়তি সতর্কতা তা নিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসককে দেখতে হবে রোগীর স্টেরয়েড মাত্রা। অক্সিজেন নিতে হলে হিউমিডিফায়ারে ব্যবহার করতে হবে পরিস্রুত জল।