সূত্রের খবর, বুধবার দিনভর এই নাটকের পর নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সৌমিত্রকে দিল্লিতে তলব করেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব৷ বিষ্ণুপুরের সাংসদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ এমনকী এও শোনা যাচ্ছে, সৌমিত্রকে ফের একবার দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সতর্ক করতে পারে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে চার সাংসদ জায়গা পেয়েছেন। কিন্তু ডাক আসেনি সৌমিত্রের৷ যদিও বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি-র ফল তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য অনেক জায়গার থেকে ভালো। তার পরেও মন্ত্রিসভায় জায়গা না পেয়েই এ দিন দুপুরে ফেসবুক লাইভ করে সৌমিত্র খাঁ নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের।
advertisement
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ ছিল, দিল্লিতে গিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ভুল বুঝিয়ে আসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা৷ এমনকী নন্দীগ্রামের বিধায়ককে 'আয়নায় মুখ দেখার' পরামর্শও দেন তিনি৷ অপরদিকে, দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অর্ধেক বোঝেন বলেও কটাক্ষ করেছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ৷ এরপরই দিল্লি থেকে ডাক আসে তাঁর। যদিও দিলীপ ঘোষ এদিন পালটা আক্রমণ শানিয়েছেন সৌমিত্রকে। নাম না করে বলেছেন, 'রাজনাতীতে জোকারদের নিয়ে আলোচনা হয়। যুব নেতা তো, এমন ভুল করলে চলে না। বারবার একই ভুল মেনেও নেওয়া হবে না।' কিন্তু দিল্লি থেকে ডাক পাওয়ার পরও যেভাবে যুব মোর্চার বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ, তাতে জল্পনা আরও বাড়ল।
