দলের বিভিন্ন সাধারণ সম্পাদক, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠকে নির্দেশ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলের। দলে যোগদান করেই নেতা হওয়া যাবে না। দলের নীতি-আদর্শ মেনেই চলতে হবে। নেতাদের কোন্দল বরদাস্ত নয়।সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আগে রাষ্ট্র। তারপর দল। তারপর ব্যক্তি। বার্তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।
advertisement
আরও পড়ুন- অভিষেককে ইডি'র তলব প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ মানতে নারাজ পদ্ম শিবির
প্রসঙ্গত, বৈদিক ভিলেজে বঙ্গ বিজেপির তিন দিনের প্রদেশ প্রশিক্ষণ শিবিরের আজ শেষ দিন। দু’দিনের শিবিরে অংশ নিয়ে গতকালই দিল্লি ফিরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে গেরুয়া শিবিরের প্রশিক্ষণ শিবিরের ফাঁকে এমনটাই নির্দেশও বার্তা দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নবনিযুক্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল বলে বিজেপি সূত্রের খবর। এক হয়ে না চলতে পারলে বিজেপি বাংলায় কোনও দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না, সেই বিষয়টিও উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাই জরুরী ভিত্তিতে সংগঠনকে এ রাজ্য চাঙ্গা করার লক্ষ্যে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে নানান দাওয়াই দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পরে চিনা রেকের স্পিড ট্রায়াল হল কলকাতায়
একদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর চব্বিশে লোকসভা ভোট। পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটকে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ হিসেবে দেখে এখন থেকেই সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে রাজনীতির ময়দানে সবাইকে একসাথে কোমর বেঁধে ঝাঁপানোর ডাক দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলেও বৈঠকে উপস্থিত এক পদ্ম নেতা দাবি করেন।
গতকাল, মঙ্গলবার রাতেই কলকাতা ছেড়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। কাল রাতে গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় এসেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। বিএল সন্তোষ তাঁর বক্তব্যে বিজেপি কর্মীদের জন্য একাধিক গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছেন। কর্মীদের জন্য আচরণবিধির কথা বলা হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক আচরণে জোর দিয়েছেন সন্তোষ।